খাস কলকাতায় দু’টি বেসরকারি হাসপাতালে চালু হল স্বাস্থ্যসাথী ওয়ার্ড

খাস কলকাতায় দু’টি বেসরকারি হাসপাতালে চালু হল স্বাস্থ্যসাথী ওয়ার্ড

কলকাতা:  স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে রাজ্যজুড়ে বারবার অভিযোগ উঠেছে৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, কোনও হাসপাতাল স্বাস্থ্যসাথী কার্ড গ্রহণ না করলে তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে৷ তা সত্ত্বেও স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে ভর্তি হতে আসা রোগীদের ফিরিয়ে দিয়েছে একাধিক বেসরকারি হাসপাতাল৷ নাকাল হতে হয়েছে রোগীর পরিবারকে৷ কিন্তু এই প্রথম খাস কলকাতায় দুটি বেসরকারি হাসপাতালে চালু হল স্বাস্থ্যসাথী ওয়ার্ড৷ 

আরও পড়ুন-  বাংলার জনতার ‘হৃদয়’ পেতে ‘সামাজিক-হাতিয়া’ শাহের, দিলেন গুচ্ছ নির্দেশ

আমরি হাসপাতাল এবং আরএন টেগোর ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ কার্ডিয়াক সায়েন্সে চালু হল স্বাস্থ্যসাথী ওয়ার্ড৷ অন্যদিকে আগামী সপ্তাহে আরও দুটি বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী ওয়ার্ড চালু করার প্রস্তুতি চলছে৷ প্রতিদিনই বহু রোগী স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে ভর্তি হওয়ার জন্য আসছেন৷ গত নভেম্বর মাসে রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়, রাজ্যের সকল নাগরিককে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধা দেওয়া হবে৷ এই ওয়ার্ড চালু হওয়ার স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের অধীনে এবং স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের বাইরে রোগীদের ভর্তি করার ক্ষেত্রে সুবিধা হবে৷ 

আমরি হাসপাতাল ঢাকুরিয়া, মুকুন্দপুর এবং সল্টলেক এই তিনটি ইউনিটেই স্বাস্থ্যসাথী ওয়ার্ড রেখেছে৷ সব মিলিয়ে মোট ১১০টি বেড রয়েছে এই ওয়র্ডে৷ অন্যদিকে আরএন টেগোরে স্বাস্থ্যসাথী ওয়ার্ডে রয়েছে ৬৫টি বেড৷ আমরির সিইও রূপক বরুয়া বলেন, ‘‘স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে৷ তাই একটি পৃথক ওয়ার্ডের প্রয়োজন ছিল৷ সরকারের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে৷ মোট বেডের ১৫ শতাংশ স্বাস্থ্যসাথী রোগীদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হবে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ৷’’  বরুয়া আরও জানিয়েছেন, আমরিতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে ভর্তি হওয়া রোগীদের অধিকাংশই সার্জারির জন্য ভর্তি হয়েছেন৷ ৮০ শতাংশ রোগীই হৃদরোগে আক্রান্ত৷ বাকি ২০ শতাংশ মেলানো মেশানো রয়েছে৷ 

আরও পড়ুন-  কাজ করতে পারছেন না, এক বছর আগেই জানিয়েছিলেন দীনেশ! দাবি কৈলাশের

এদিকে, মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এবং আরও একটি বেসরকারি হাসপাতাল স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের জন্য পৃথক ওয়ার্ডের পরিকল্পনা নিয়েছে। মেডিকার ভাইস চেয়ারম্যান কুণাল সরকার বলেন, ‘‘বর্তমানে ১০ শতাংশ রোগী স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত৷ সে কারণেই পৃথক ওয়ার্ডের প্রয়োজন হয়ে উঠেছে৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × 3 =