কলকাতা: আচমকা রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে তৃণমূল কংগ্রেসের দীনেশ ত্রিবেদী। বিধানসভা নির্বাচনের আর কয়েক সপ্তাহ বাকি থাকতে ফের বড়সড় চাপে ঘাসফুল শিবির। ইতিমধ্যেই গুঞ্জন শুরু হয়ে গিয়েছে যে তিনি নাকি বিজেপিতে যাচ্ছেন, যদিও সেই নিয়ে এখনও সরাসরি কোনও মন্তব্য করেননি দীনেশ। তবে তাঁর পদত্যাগ নিয়ে কার্যত বিস্ফোরক দাবি করলেন রাজ্য বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গী। দাবি করলেন, দীনেশ ত্রিবেদী নাকি এক বছর আগেই দল ছাড়তেন।
রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে দীনেশ ত্রিবেদীর ইস্তফা প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গী দাবি করছেন, তৃণমূলে তিনি কাজ করতে পারছেন না বলে এক বছর আগেই নাকি তাঁকে জানান ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ। সেই মতো এক বছর আগে থেকেই নাকি তিনি দল ছাড়ার পরিকল্পনা করছেন বলে জানাচ্ছেন কৈলাশ। তবে অবশেষে ইস্তফা দিয়েছেন দীনেশ সেই প্রসঙ্গে কৈলাশের মত, তিনি বড্ড দেরী করে ফেলেছেন, অনেক আগেই এই সিদ্ধান্ত নিতে হত। এদিকে, তাঁকে ইতিমধ্যেই বিজেপিতে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত গেরুয়া শিবিরের নেতারা। পদ্ম বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, দীনেশ ত্রিবেদীকে স্বাগত জানাবে বিজেপি যদি তিনি দলে আসতে চান। যদিও সংসদ থেকে বেরিয়ে আপাতত নতুন দলে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন দীনেশ ত্রিবেদী। আগামী দিনে তাঁর রাজনৈতিক পরিকল্পনা কী? এ প্রশ্নের উত্তরে তাঁর সাফ জবাব, “আপাতত নিজের সঙ্গে নিজে থাকবো। যেমন রেলমন্ত্রীত্ব ছাড়ার পর ছিলাম।”
উল্লেখ্য, আজ সকালেই রাজ্যসভার সভা মঞ্চে উঠে দাঁড়িয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন দীনেশ ত্রিবেদী। তিনি বলেন রাজ্যের শাসক দলের কার্যকলাপ দেখে তাঁর দম বন্ধ হয়ে আসছে। তিনি আর চুপ করে থাকতে পারছেন না। তাই ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আগামী দিনে বাংলায় গিয়ে মানুষের জন্যে কাজ করতে চান বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, “আমি কার কাছে নিজের বক্তব্য জানাবো? কারুর কাছে সময় নেই। কর্পোরেট পেশাদারদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে দল। সেই যাবতীয় কাজকর্ম চালাচ্ছে। এমন একজন দলের নেতা হয়েছে যে রাজনীতির অ-আ-ক-খ জানে না। এই পরিস্থিতিতে কেউ কি করতে পারে?” অন্যদিকে দলবদল করছেন কিনা এই প্রশ্ন তোলা হলে তিনি বলেন, “আমি এখন নিজের সঙ্গে আছি। আমি এখন খুবই স্বস্তিতে। নিজের সিদ্ধান্ত নিয়ে আমার কোনো রকম অনুতাপ নেই”।