বাংলায় গঠিত হবে বিধান পরিষদ, টিকিট না পাওয়া নেতাদের মনোনয়ন!

বাংলায় গঠিত হবে বিধান পরিষদ, টিকিট না পাওয়া নেতাদের মনোনয়ন!

কলকাতা:  প্রার্থী ঘোষণায় চমক দিয়ে রাজ্যে বিধান পরিষদ ফিরিয়ে আনার কথা ঘোষণা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যপাধ্যায়৷ ক্ষমতায় ফিরলে পশ্চিমবাংলায় ফের বিধান পরিষদ গড়ে তোলা হবে, সাফ জানিয়ে দিলেন তিনি৷ কিন্তু কারা স্থান পাবেন পরিষদে? সে কথাও স্পষ্ট করে দিলেন দলনেত্রী৷ জানিয়ে দিলেন, এই বার ভোটে টিকিট না পাওয়া প্রার্থীদের নিয়ে আসা হবে বিধান পরিষদে৷  

আরও পড়ুন-  কথা দিয়ে, কথা রাখি, নন্দীগ্রামে লড়ছি: মমতা

প্রসঙ্গত, শুক্রবার সম্পূর্ণ প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ নির্বাচন কমিটিকে নিয়ে ২৯৪টি আসনের মধ্যে ২৯১টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হল আজ৷ পাহাড়ের তিনটি আসনে লড়বে তাঁদের শরিক গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা৷ ওই তিনটি আসনে প্রার্থী দেবে না তৃণমূল৷ মমতা বলেন, এবার ভোটে অনেককেই টিকিট দেওয়া সম্ভব হয়নি৷ কোভিড পরিস্থিতির জন্য ৮০ ঊর্ধ্ব ব্যক্তিদের টিকিট দেওয়া যায়নি৷ তবে তাঁরা যে ভাবে এতজিন দলকে সমর্থন করেছে, তাঁদেরও কথাও ভাববে দল৷ সেই কারণেই বিধান পরিষদ তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল৷ 

তিনি বলেন, যাঁরা এবার ভোটে টিকিট পাচ্ছেন না, তাঁদের বিধান পরিষদে নিয়ে আসা হবে৷ মমতা বলেন, এবার যেমন অসুস্থতার কারণে ভোটে দাঁড়াতে পারছেন না অমিত মিত্র৷ তাঁকে পরবর্তী সময়ে বিধান পরিষদে নিয়ে আসা হবে৷ এই তালিকায় আরও অনেক নাম আছে৷ রয়েছেন সিঙ্গুরের মাস্টারমাশাই, ব্রজ মজুমদার, অসিত মাঝি, অমল আচার্য, পূর্ণেন্দু বসু প্রমুখরা৷  নীতিগত ভাবে তাঁদের বিধান পরিষদে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হবে৷ 

আরও পড়ুন- কামদুনি কাণ্ডের প্রতিবাদী মুখ মৌসুমী হতে পারেন বিজেপি প্রার্থী!

প্রসঙ্গত, বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য আইনসভা এক কক্ষ বিশিষ্ট৷ অতীতে এখানেও বিধান পরিষদ ছিল৷ কিন্তু ১৯৬৯ সালের ২১ মার্চ রাজ্য আইনসভায় বিধান পরিষদ অবলুপ্তির  প্রস্তাব পাস হয়। এরপর ভারতীয় সংসদে পশ্চিমবঙ্গ বিধান পরিষদ (অবলুপ্তি) আইন, ১৯৬৯ পাস হয়। ১৯৬৯ সালের ১ অগস্ট বিধান পরিষদ অবলুপ্ত হয়। ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর তৃণমূল কংগ্রেস সরকার পুনরায় এই পরিষদ গঠনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল। যদিও তা বাস্তবায়িত হয়নি৷ এদিন ফের বিধান পরিষদ গঠনের প্রসঙ্গ তুললেন দলনেত্রী৷ টিকিট না পাওয়া নেতারা যাতে বঞ্চিত না হন, তা নিশ্চিত করেতই এই সিদ্ধান্ত৷ 

প্রসঙ্গত, বিধান পরিষদের সদস্যরা পরোক্ষ ভাবে নির্বাচিত হন৷ তাঁদের মেয়াদ ছয় বছর৷ বিধান পরিষদের আকার সংশ্লিষ্ট রাজ্য বিধানসভার এক-তৃতীয়াংশের বেশি অথবা ৪০ জনের কম হতে পারে না। বর্তমানে বিধান পরিষদ রয়েছে উত্তর প্রদেশ, বিহার, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, জম্মু ও কাশ্মীর এবং অন্ধ্রপ্রদেশে৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × 1 =