কলকাতা: অনেক আগেই ঘোষণা করেছিলেন যে, তিনি নন্দীগ্রাম থেকে প্রার্থী হতে চলেছেন। এদিন সেই সিদ্ধান্তের সীলমোহর পড়ল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, তিনি কথা দিয়ে কথা রাখেন তাই নন্দীগ্রামের প্রার্থী তিনি। তবে ভবানীপুরে তিনি লড়বেন না বলে দিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন দলনেত্রী। ভবানীপুরের প্রার্থী হতে চলেছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। ওদিকে, পাহাড়ের তিনটি আসনে লড়বে না তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করার শুরুতেই স্পষ্ট করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, ২৯১ টি আসনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে তৃণমূল কংগ্রেস, বাকি তিনটি আসন পাহাড়ের। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা লড়বে এই তিনটি আসনে। একইসঙ্গে জানানো হয়েছে, এবারের নির্বাচনে মহিলা প্রার্থীর সংখ্যা ৫০। মুসলিম প্রার্থীর সংখ্যা ৪২, এসসি প্রার্থী ৭৯, এসটি প্রার্থী ১৭ জন।
রাসবিহারী আসনে প্রার্থী হচ্ছেন, দেবাশীষ কুমার, অতীন ঘোষ হচ্ছেন কাশিপুর-বেলগাছিয়া আসনে, রাজ চক্রবর্তী ব্যারাকপুর, মনোজ তিওয়ারি শিবপুর, এদিকে, বেহালা পূর্বে প্রার্থী হচ্ছেন রত্না চট্টোপাধ্যায়, কামারহাটিতে প্রার্থী মদন মিত্র। বেহালা পশ্চিমে প্রার্থী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বাঁকুড়া আসনে প্রার্থী হচ্ছেন অভিনেত্রী সায়ন্তিকা, ঝাড়গ্রাম বীরবাহাঁ হাসদা, ইদ্রিস আলী মুর্শিদাবাদ, হুমায়ূন কবীর ভাঙ্গর, অদিতি মুন্সি রাজারহাট গোপালপুর, জোড়াসাঁকো বিবেক গুপ্ত। সোহম প্রার্থী হচ্ছেন চণ্ডীপুর আসনে, সোনারপুর দক্ষিণে লাভলী মিত্র, আসানসোল দক্ষিণে প্রার্থী হচ্ছেন দক্ষিণে সায়নী। সিঙ্গুরে বেচারাম মান্না, বিধাননগরে সুজিত বসু, বেলগাছিয়ার প্রার্থী অতীন ঘোষ, উত্তরপাড়ায় কাঞ্চন মল্লিক প্রার্থী। কলকাতা পোর্ট ফিরহাদ হাকিম, চন্দন্নগরে ইন্দ্রলীন সেন, সবং মানশ ভুইয়া। অন্যদিকে, আরামবাগে সুজাতা মণ্ডল খাঁ, হাবড়ায় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, ভাটপাড়ায় জিতন্দ্র সাউ, বারসতে চিরঞ্জিত চক্রবর্তী, পাথরপ্রতিমায় সনৎ জানা, কাকদ্বীপে মন্টুরাম পাখিরা, রেজিনগরে রবিউল আলম চৌধুরী, জলঙ্গিতে আবদুল রেজ্জাক, নবদ্বীপে পুণ্ডরীকাক্ষ সাহা, হরিণঘাটায় নীলিমা নাগ, স্বরূপনগরে হিনা মণ্ডল, নৈহাটি পার্থ ভৌমিক, চৌরঙ্গী নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্যামপুকুর শশী পাঁজা, হাওড়া মধ্য অরূপ রায়, ডোমজুড়ে কল্যাণ ঘোষ, শ্রীরামপুরে সুদীপ্ত রায়, শিলিগুড়িতে ওমপ্রকাশ মিশ্র। খড়দহ কাজল সিনহা, কসবা জাভেদ খান, উলুবেড়িয়া উত্তর নির্মল মাঝি, কৃষ্ণনগর উত্তর কৌশানি, যাদবপুর দেবব্রত মজূমদার।
প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকলের কাছে আর্জি জানিয়েছেন, কেউ যেন ভুয়ো প্রচারে কান না দেয়। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মান্য করে যেন সকলে ভোট দেন। এর পাশাপাশি মমতা বলেন, যারা নির্বাচনী প্রচারে আসছে তাদের বহিরাগত বলা হচ্ছে না, কিন্তু অনেক বাইরের লোক ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে বাংলায় ভোট প্রচারের জন্য। এদিন তিনি ফের একবার মনে করিয়ে দেন, বাংলার মানুষ বাংলাকে শাসন করবে, কোন বহিরাগতরা বাংলাকে শাসন করবে এটা তিনি হতে দেবেন না। এদিকে সিপিএম এবং কংগ্রেসকে আক্রমণ করে মমতা বললেন, ওরা একেবারে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। ওদের নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া হয়ে রয়েছে। এর পাশাপাশি গত ১০ বছরে রাজ্যের তৃণমূল সরকার কি কি কাজ করেছে তার সম্পূর্ণ খতিয়ান অল্পসময়ের মধ্যেই ব্যাখ্যা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।