কেন্দ্রীয় বাহিনীর কথায় গুলি চালাচ্ছে পুলিশ, ‘আগুন নিয়ে খেলবেন না’, হুঁশিয়ারি মমতার

কেন্দ্রীয় বাহিনীর কথায় গুলি চালাচ্ছে পুলিশ, ‘আগুন নিয়ে খেলবেন না’, হুঁশিয়ারি মমতার

d80998fd91cc45c2ce38529d50d81df3

কলকাতা: কমিশনের তরফে সভায় নিষেধাজ্ঞা জারির পরই আজ সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপিকে তুলোধোনা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেই সঙ্গে রাজ্য পুলিশকেও কড়া বার্তা দিলেন তিনি৷ বললেন, আগুন নিয়ে খেলবেন না৷ 

আরও পড়ুন- ‘মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে আমাকে আমন্ত্রণ করা হয়নি, করলে যেতাম,’ দাবি মমতার

তাঁর কথায়, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বিজেপি’র পক্ষে কাজ করাতেই রাজ্যে ৮ দফা ভোটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন৷ গতকাল ষষ্ঠ দফা ভোটেও জগদ্দল বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের সাত জন এজেন্টকে অপহরণ করা হয়েছিল৷ একটি জায়গায় গুলিও চালানো হয়েছে৷ তিনি বলেন, যাঁরা গুলি চালিয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হবে৷ যথাযথ পদক্ষেপ করা হবে৷ গুলি চালানোকে আমরা সমর্থন করি না৷ তোপ দেগে তিনি বলেন, ‘‘কেউ কেউ কেন্দ্রীয় বাহিনীর কথায় নেচে রাজ্যেও গুলি চালাতে শুরু করেছে৷ তাঁরা ভাবছেন চিরকালই নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকবেন৷ তাঁদের উদ্দেশে বলতে চাই, আগুন নিয়ে খেলবেন না৷ মানুষ মারবেন না৷ মানুষকে তাঁর ভোট দিতে দিন৷’’ তাঁর কথায়, প্রতিটি ভোট গুরুত্বপূর্ণ৷ প্রসঙ্গত, গতকাল বাগদার ৩৫ নম্বর বুথে পুলিশের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে৷

আরও পড়ুন- করোনার মহা-প্রলয় রুখতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত রাজ্যের

মমতা আরও বলেন, ভোটের লিস্টে নাম না থাকেল যে কোনও মুহূর্তে আপনাদের এনপিআর, এনআরসি করতে পারে। তবে তৃণমূল এনপিআর বা এআরসি করতে দেবে না বলেও আশ্বাস তাঁর৷ সিএএ-ও করতে দেওয়া হবে না বলে জানান তৃণমূল নেত্রী৷ পাশাপাশি সকলকে কোভিড বিধি মেনে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি বলেন, কোভিডকে কোনও ভাবেই উপেক্ষা করা যাবে না৷ তাঁর কথায় কোভিডের বাড়বাড়ন্তের জন্য দায়ী কেন্দ্রীয় সরকার৷ আট দফা ভোট করে বিজেপিকে সন্তুষ্ট করেত গিয়ে এটা হয়েছে৷ বিজেপি’র একটাই লক্ষ্য, যেমন ভাবে হোক বাংলা দখল করতে হবে৷ সারা ভারত মিলে বাংলা দখল করতে এসেছে৷ বাংলা দখলের নাম করে সারা বাংলা তথা গোটা দেশকে সঙ্কটে ফেলা হয়েছে৷ গুজরাত ৬০ শতাংশ ভোট পেলেও অন্যান্য রাজ্য তা পায়নি বলেই অভিযোগ তাঁর৷   
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *