‘আক্রমণের কথা শুনেই পা কাঁপছিল সেনাপ্রধানের’, অভিনন্দনের মুক্তি প্রসঙ্গে দাবি পাক সাংসদের

‘আক্রমণের কথা শুনেই পা কাঁপছিল সেনাপ্রধানের’, অভিনন্দনের মুক্তি প্রসঙ্গে দাবি পাক সাংসদের

ইসলামাবাদ: সৌজন্য নয়, ভারতীয় বায়ুসেনায় উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে ছেড়ে দেওয়ার পিছনে ছিল প্রত্যাঘাতের ভয়৷ বুধবার পাক পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে এমনটাই দাবি করলেন বিরোধী দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)-এর সদস্য আয়াজ সাদিক৷ 

আরও পড়ুন- ইসলাম নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে ফ্রান্স প্রেসিডেন্টকে কুরুচিকর আক্রমণ, প্রতিবাদ ভারতের

তিনি বলেন, অভিনন্দন বর্তমানকে না ছাড়া হলে পাকিস্তানের উপর হামলা চালাতে পারে নয়াদিল্লি৷ এই আশঙ্কার কথা পার্লামেন্টের সদস্যদের জানিয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি৷ হামলার এই আশঙ্কা থেকেই তাঁকে মুক্তি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন বিদেশমন্ত্রী৷ এদিন পার্লামেন্টে বক্তব্য রাখার সময় সাদিক আরও বলেন, অভিনন্দনকে নিয়ে বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ খুরেশি একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে জানিয়েছিলেন, তাঁকে মুক্তি দেওয়া না হলে ওই দিন রাত ১০টার পাকিস্তানের উপর হামলা চালাবে ভারত৷ ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তিনি নিজেও৷ তবে বৈঠকে আসতে চাননি ইমরান খান৷ 

সাদিক বলেন, ওই বৈঠকে ভারতের সম্ভাব্য হামলার কথা শুনে পা কাঁপতে শুরু করেছিল সেনা প্রধান বাজওয়ার৷  তিনি রীতিমতো ঘামছিলেন৷ খুরেশি বলেছিলেন, ‘ঈশ্বরের দোহাই অভিনন্দনকে ছেড়ে দিন। ওঁকে না ছাড়লে আজ রাত ৯টায় ভারতীয় সেনা আমাদের আক্রমণ করবে৷’’ তিনি আরও জানিয়েছিলেন, যুদ্ধ বাঁধলে বিরোধীরাও সরকারকে সমর্থন করবে না। ঘরে বাইরের চাপে সেদিন পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছিল।  

আরও পড়ুন- বিয়ের পর সরকারি পোর্টালে নাম লেখালেই মিলবে ২.৫ লক্ষ টাকা! ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশের বালাকোটে জয়েশ-ই-মহম্মদের ঘাঁটিতে আকাশ পথে হামলা চালিয়ছিল ভারতীয় বায়ুসেনার মিরাজ-২০০০ যুদ্ধবিমান। পরের দিন পাল্টা জবাব দিতে ভারতের আকাশসীমায় ঢুকে হামলা চালায় পাক বায়ুসেনা। ভারতীয় আকাশ সীমা লঙ্ঘন করার পরই পাকিস্তানের হামলাকারী এফ-১৬ বিমানকে ধাওয়া করেন উইং কম্যান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। সেই সময়ই মিগ-২১ বাইসন যুদ্ধবিমান নিয়ে তিনি ঢুকে পড়েন পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। তাঁর বিমান গুলি করে নামানো হয়৷ আহত অবস্থায় পাক সেনারা বন্দি করে তাঁকে৷ এর পরই শুরু হয় দুই দেশের চাপানউতোর৷ প্রায় ৬০ ঘণ্টার টানাপড়েনের পর ১ মার্চ আট্টারি-ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে দেশে ফেরেন অভিনন্দন৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *