সরকারি হাসপাতালে অক্সিজেনের ব্যাপক অপচয়, কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি

সরকারি হাসপাতালে অক্সিজেনের ব্যাপক অপচয়, কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি

02f0bc8ddd6eca6b848fa41b2457ef8c

কলকাতা: করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তেই সবচেয়ে বড় সঙ্কট হয়ে উঠেছিল অক্সিজেনের অভাব৷ সেই অভাব অনেকটাই মেটানো গিয়েছে৷ কিন্তু এবার  সরকারি হাসপাতালেই অক্সিজেনের ব্যাপক অপব্যবহারের অভিযোগ উঠল৷ স্বাস্থ্য দফতরের নজরদারিতে ধরা পড়ল একগুচ্ছ ‘বেনিয়ম’৷ উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য৷ 

আরও পড়ুন- তারিখের পর তারিখ চেয়ে যাচ্ছে সিবিআই! প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্ট

এই সংক্রান্ত স্বাস্থ্য দফতরের নির্দিষ্ট কমিটির সদস্যরা বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরে একাধিক বেনিয়ম তুলে ধরেছেন৷ দেখা গিয়েছে, প্রয়োজনে অক্সিজেন পাচ্ছেন না রোগী৷ আর যাঁদের অক্সিজেনের প্রয়োজন নেই তাঁদের দেওয়া হচ্ছে লিটার লিটার অক্সিজেন৷ ধারা যাক, যদি কোনও রোগীর মিনিটে ৫০ লিটার অক্সিজেনের প্রয়োজন হয় এবং সেই অক্সিজেন দিয়ে তাঁর অক্সিজেনের মাত্রা ৯৮ শতাংশে পৌঁছে যায়, তাহলে তাঁর অক্সিজেনের প্রয়োজন কমে যায়৷ কিন্তু অক্সিজেন স্যাচুরেশন ঠিক থাকা রোগীকেও ক্রমাগত অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে৷ এক্ষেত্রে অক্সিজেনের ব্যাপক অপচয় হচ্ছে৷ অন্যদিকে, যে রোগীকে মিনিটে ৮ লিটার অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে, তাঁর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ৯০ শতাংশ৷ ওই রোগীর আরও বেশি অক্সিজেন প্রয়োজন হলেও তিনি পাচ্ছেন না৷ এক্ষেত্রে কোনও নজরদারি নেই৷ 

পাশাপাশি স্বাস্থ্য দফতরের পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে আরও কিছু বেনিয়ম৷ হাসপাতালে সিলিন্ডার আনার পর সিলিন্ডারে কত অক্সিজেন রয়েছে তার কোনও খতিয়ান রাখা হচ্ছে না৷ অক্সিজেন সিলিন্ডার ব্যবহারের তথ্য জনানো হচ্ছে না স্বাস্থ্য ভবনকে৷ অক্সিজেন ফ্লো মিটার নিয়েও সঠিক তথ্য দেওয়া হচ্ছে না৷ এছাড়াও হাসপাতালের সেন্ট্রাল লাইনের সঙ্গে সিলিন্ডার যোগ করা হয়৷ এর পর কত মাত্রায় অক্সিজেন বেরচ্ছে সেই সংক্রান্ত রেকর্ডেও গাফিলতি রয়েছে৷ নেই কোনও নজরদারি৷ 

আরও পড়ুন- ‘উনি সাড়া দেননি, আমরা জীবন হাতে লড়ব কেন?’ শুভেন্দুর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ালেন BJP কর্মী

স্বাস্থ্য দফতরের এই পর্যপেক্ষণের পর অক্সিজেনের অপচয় রুখতে সমস্ত সরকারি হাসপাতালের আধিকারিক ও জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নির্দেশ পাঠানো হয়েছে৷ হাসপাতালের সুপার, অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার, চিকিৎসক, নার্সিং ইনচার্জ সকলকে পৃথকভাবে দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে৷ বলা হয়েছে রোগীদের অক্সিজেনের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি দেখবেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক৷ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নার্সিং ইনচার্জকেও৷  বেনিয়ম হলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলেও স্বাস্থ্য দফতরের তরফে সতর্ক করা হয়েছে৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *