‘কোনওদিন তৃণমূল ছাড়িনি’! ঘাসফুলে প্রত্যাবর্তনের পর বললেন শিখা

‘কোনওদিন তৃণমূল ছাড়িনি’! ঘাসফুলে প্রত্যাবর্তনের পর বললেন শিখা

fbf5e5bf8c50272a29e01f6e5765fdb4

কলকাতা: জল্পনা একদম সত্যি করেই এদিন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন প্রয়াত কংগ্রেস নেতা সোমেন মিত্রের স্ত্রী শিখা মিত্র। তবে ফের একবার ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিয়ে তিনি দাবি করলেন যে, কোনওদিন তিনি তৃণমূল ছাড়েননি! এদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে তাঁর খোঁজ নিয়েছেন এতে তিনি ভীষণ আপ্লুত হয়েছেন বলেই জানিয়েছেন শিখা। গত সপ্তাহে প্রয়াত সোমেন মিত্রের বাৎসরিক কাজ ছিল। সেদিন তাঁর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে সাংসদ মালা রায় তাঁকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেন। তারপরেই খবর ছিল যে তিনি তৃণমূলে আসছেন। আজ সেই খবর সত্যি হল। 

আরও পড়ুন- মা আসছে, কিন্তু বায়না কোথায়? দুশ্চিন্তায় মৃৎশিল্পীরা

সম্প্রতি কংগ্রেস শিবিরে বড় ভাঙন ধরেছে কারণ প্রয়াত রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ছেলে অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। তারপর আজ শিখা মিত্রের যোগদান যে বাংলায় কংগ্রেসকে আরও কোণঠাসা করল তা বলাই বাহুল্য। এদিন শিখা মিত্র জানান, কোনও সময় তিনি নাকি তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে যাননি, কিছু মনোমালিন্য হওয়ার কারণে দল থেকে দূরে ছিলেন। এখন সব ঠিক হয়ে গেছে বলেও দাবি করেন তিনি। এর আগেই শিখা মিত্র নিজে জানিয়েছিলেন, একমাত্র বিজেপি’র রথ রুখতে পারবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। তারপর আজ ফের একবার পুরনো দলে যোগ দিলেন তিনি। প্রসঙ্গত, শিখা মিত্র ও রোহন মিত্রকে বিজেপিতে আনার যথেষ্ট চেষ্টা করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় নাম ছিল শিখা মিত্রের। চৌরঙ্গী বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তাঁকে টিকিট দেওয়ার কথাও ভেবেছিল বিজেপি৷ কিন্তু বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে প্রার্থী পদ থেকে সরে দাঁড়ান শিখা।

আরও পড়ুন-Breaking: ভোট পরবর্তী হিংসায় রাজ্যে প্রথম গ্রেফতারি CBI-এর

স্বামী সোমেন মিত্রের কংগ্রেস মনোভাব নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি জানিয়েছেন যে, তাঁর যে আদর্শ ছিল তার আলাদা জায়গা রয়েছে তাঁর কাছে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে তা মেলান যায় না। এখন বিজেপির বিরুদ্ধে একটাই শক্তি, তৃণমূল কংগ্রেস, এমনটাই মনে করেন শিখা মিত্র। শোনা যাচ্ছে, তৃণমূলের শাখা সংগঠন ‘বঙ্গজননীর’ সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন তিনি। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *