বাঙালি প্রধানমন্ত্রী চাই, বিজেপির হলেও চলবে! দেবের মন্তব্যে ঝড়

বাঙালি প্রধানমন্ত্রী চাই, বিজেপির হলেও চলবে! দেবের মন্তব্যে ঝড়

কলকাতা: বাঙালি রাষ্ট্রপতি পেয়েছে ভারত কিন্তু বাঙালি প্রধানমন্ত্রী… কতদিন যে অপেক্ষা করতে হবে তার কোন ঠিক নেই আবার, অপেক্ষা করেও কোনো লাভ হবে কিনা সে কথাও ভাবতে হয়। তবে সম্প্রতি রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার সময় ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ দেব বলেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী না হলে সমস্যার সমাধান হবে না। সেই তিনি আবারো বাঙালি প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে কথা বললেন কিন্তু এবার তাৎপর্যপূর্ণভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নিলেন না! বরং দলের প্রসঙ্গ না টেনে দেব বললেন যে, বাঙালি প্রধানমন্ত্রী হলেই হবে তা সে বিজেপির বাঙালি নেতাই হোক না কেন। তৃণমূলের এই সাংসদের বক্তব্যে এখন ঝড়।

আরও পড়ুন- বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে গবেষক ছাত্রীর সঙ্গে সহবাস, কাঠগড়ায় যাদবপুরের অধ্যাপক

ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে ইতিমধ্যে আবার সক্রিয়তা বাড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস এবং গতকাল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছে প্রতিনিধি দল। সেই বৈঠকের পরেই তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ দেব বলেন, কোন একজন বাঙালি প্রধানমন্ত্রী হলেই বাংলার এবং ঘাটালের সমস্যা মিটবে। যদি বিজেপির থেকেও কেউ বাঙালি প্রধানমন্ত্রী হন তাহলেও তাঁর আপত্তি নেই। দেবের স্পষ্ট বক্তব্য, একমাত্র একজন বাঙালি যদি প্রধানমন্ত্রী হয় তাহলে ঘাটালের বন্যা সমস্যার সমাধান হবে। কয়েক সপ্তাহ আগেই বাঙালি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম সরাসরি নিয়েছিলেন তিনি। দাবি করেছিলেন যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী না হওয়া পর্যন্ত ঘাটালের সমস্যা মিটবে না। তবে এখন তিনি বাঙালি প্রধানমন্ত্রী তো চাইছেন কিন্তু বলেই দিচ্ছেন যে বিজেপির থেকে হলেও তাঁর আপত্তি নেই। এমন মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই ভ্রু কুঁচকাচ্ছে নিন্দুকরা। 

আরও পড়ুন- ‘ভুল বোঝাবুঝিতে পরিবর্তন হয়েছিল’, তৃণমূলে ফিরে অকপট বিশ্বজিৎ

প্রসঙ্গত গতকাল, সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া, সাংসদ দীপক অধিকারী, সুখেন্দুশেখর রায়, বিধায়ক জুন মালিয়া সহ নয় সদস্যের এক প্রতিনিধি দল আজ দিল্লিতে আট দফা দাবি নিয়ে কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং সেখাওয়াতের সঙ্গে দেখা করে দীর্ঘদিনের ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়নে কেন্দ্রীয় অর্থের দাবি জানিয়েছেন। নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থ স্থানীয় গ্রামবাসীদের পুনর্বাসন এবং ভাঙ্গন নিয়ে সুনিদৃষ্ট একটি কেন্দ্রীয় নীতি তৈরির দাবিও জানান হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × three =