‘ভুল বোঝাবুঝিতে পরিবর্তন হয়েছিল’, তৃণমূলে ফিরে অকপট বিশ্বজিৎ

‘ভুল বোঝাবুঝিতে পরিবর্তন হয়েছিল’, তৃণমূলে ফিরে অকপট বিশ্বজিৎ

fffd8367ef43529258ef0cca4f0c4441

কলকাতা: জল্পনা ছিল অনেক আগে থেকেই। বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের আবহে অনেকবার ইঙ্গিত মিলেছিল, কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি। কিন্তু আজ হল। দীর্ঘ জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ফের একবার তৃণমূলে এলেন বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। গতকালই বিষ্ণুপুরের বিজেপি বিধায়ক তন্ময় ঘোষ দল ছেড়ে ঘাসফুলে যোগ দেন। আর আজ যোগ দিলেন বাগদার বিধায়ক। 

আরও পড়ুন- নথি ছাড়াই চাকরিতে বহাল শিক্ষক, মামলা হতেই কেঁচো খুঁড়তে কেউটে 

বাংলার নির্বাচনের আগেই দল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন বিশ্বজিৎ দাস। কিন্তু পরবর্তী ক্ষেত্রে অনেক জলঘোলা হয় তাঁর বিজেপিতে থাকা নিয়ে। অবশেষে আজ পুরনো দলে ফিরলেন তিনি। এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদারের উপস্থিতিতে নিজের হাতে তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেন তিনি। জানান, একটা ভুল বোঝাবুঝিতে পরিবর্তন হয়েছিল যেটা হওয়া উচিত ছিল না। কিন্তু এখন তিনি মানুষের উন্নয়ন এবং এলাকার উন্নয়নের জন্য পুরনো দলে ফিরে এসেছেন। তাঁর কথায়, বাংলার উন্নয়নে যে কাজ করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁদের উপর আস্থা রেখেই তিনি দলে ফিরেছেন। উল্লেখ্য নির্বাচনের আগেই বিশ্বজিৎ দাসের সঙ্গে তৃণমূলের যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছিল বলে বিজেপি সূত্রে খবর৷ এর পর তাঁকে হেস্টিংসের দফতরে ডেকে পাঠানো হয়৷ মুকুল রায়, অর্জুন সিং সহ বিজেপি’র একাধিক নেতা তাঁর সঙ্গে কথা বলেছিলেন৷ সেই সময় দলত্যাগ থেকে তাঁকে বিরত করা সম্ভব হয়৷ বিজেপি’র হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য তাঁকে টিকিটও দেওয়া হয় এবং তিনি জয়ীও হন৷

আরও পড়ুন- মাথার ঘায়ে কুকুরের পাগল হওয়ার অবস্থা! উপনির্বাচন নিয়ে কটাক্ক দিলীপের 

প্রসঙ্গত গতকাল রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর উপস্থিতিতে ঘাসফুল শিবিরের পতাকা হাতে তুলে নেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি বিধায়ক তন্ময় ঘোষ। তন্ময় জানান, বিজেপি বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে বলপূর্বক রাজ্য দখল করার চেষ্টা করেছে এবং এখন প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি করছে। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় এজেন্সি লাগিয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে তারা। তিনি আরো বলেন, বিজেপি আদতে বাংলার ঐতিহ্য নষ্ট করার চেষ্টা করছে এবং বাঙালির সংস্কৃতিতে হস্তক্ষেপ করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *