কলকাতা: রাজ্য সরকার রাজ্যের দুই জেলায় প্রায় ৭ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পৌরহিত্যে নবান্নে আজ রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে মুখ্যসচিব হরি কৃষ্ণ দ্বীবেদী জানিয়েছেন। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, মালদহ ও উত্তর ২৪ পরগণা এই দুই জেলায় ৩ হাজার ১৭৯ টি শিক্ষক পদ পূরণ করা হবে। একই সঙ্গে ওই দুই জেলায় প্রাথমিক শিক্ষকের ৩ হাজার ৯২৫ টি পদে নিয়োগ করা হচ্ছে। ২০০৯ সালে রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্যানেল তৈরি করা হয়েছিল। সেখান থেকেই এই পদ গুলিতে শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্ট আজই রাজ্য সরকারকে শূন্য পদে দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছে। শিক্ষা ছাড়াও শিল্প সংক্রান্ত বেশ কিছু বিষয়ে এদিন মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার ব্যাখ্যা দিয়েছেন মুখ্য সচিব। তিনি জানান, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক তৈরীর জন্য শিল্প সংস্থা গুলি যাতে ট্রেড লাইসেন্স এবং বিদ্যুতের অনুমতি সহজে পায় তার জন্য সিঙ্গেল উইন্ডো শুরু করছে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন- ফের বিজেপিতে ধস! গোসাবা কেন্দ্রের প্রার্থী এবার তৃণমূলে
শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে এর আগে একাধিকবার অস্বস্তির মুখে পড়েছে রাজ্য সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বারংবার নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। এমনকি নিয়োগ নিয়ে জটিলতার ব্যাপারে বিরক্তি প্রকাশ করতেও দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। তবে তিনি আগেই ঘোষণা করেছিলেন যে পুজোর আগে শিক্ষক নিয়োগ হবে বড় মাত্রায়। তাই আজকের মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের বিষয় অবশ্যই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। আপাতত এই দুই জেলায় শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন। এরপরে আরো বেশ কয়েকটি জেলার ক্ষেত্রে একই রকম সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- উত্তাল দিঘা, নিষেধ অমান্য করেই সমুদ্রে নামলেন পর্যটকরা
এদিন আবার কলকাতা হাইকোর্টে প্রাথমিকে ভুল প্রশ্ন মামলার শুনানিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এর পাশাপাশি তিনি অবিলম্বে নিয়োগের নির্দেশ পর্যন্ত দিয়েছেন। স্পষ্ট জানিয়েছেন, নির্দেশ অবিলম্বে কার্যকর করতে হবে এবং কোন রকম টালবাহানা বরদাস্ত করা হবে না। অবিলম্বে সব শূন্যপদ পূরণ করার নির্দেশের পরেই বিকেলে নবান্নের তরফে বড় সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হল।