কলকাতা: হলদিয়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ শ্যামল আদকের বিরুদ্ধে কোনও কড়া আইনি পদক্ষেপ করতে পারবে না রাজ্য পুলিশ। আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত হাই কোর্টের রক্ষাকবচ দেওয়া হল তাঁকে৷ তোলাবাজি সহ একাধিক অভিযোগে আদকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছিল পুলিশ৷ এর পরেই হাইকোর্টেক দ্বারস্থ হন তিনি৷
আরও পড়ুন- বাগানে সুপারি চুরির ঘটনা দেখে ফেলায় ডোমজুড়ে বৃদ্ধার নলি কেটে খুন
মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার অন্তর্বর্তী নির্দেশে বলা হয়েছে, আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত হলদিয়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শ্যামল আদকের বিরুদ্ধে কোনও রকম কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না রাজ্য পুলিশ বা অন্য কোনও তদন্তকারী সংস্থা৷ প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ার পরেই হলদিয়া পুরসভার চেয়ারম্যানের পদ ছাড়েন তিনি৷ শুভেন্দুর পথ অনুসরণ করে যোগ দেন বিজেপি’তে৷ এর পরেই তাঁর বিরুদ্ধে টেন্জার দুর্নীতি সহ একাধিক অভিযোগ তোলে তৃণমূল৷
উল্লখ্য, ২০১৭ সালে হলদিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন শ্যামল আদক। ২০১৮ সালে হলদিয়া ডক থেকে প্রতি লরি পিছু ১০০ টাকা করে তোলা তোলার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে৷ এছাড়াও চেয়ারম্যান থাকাকালীন আত্মীয়ের সংস্থাকে টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে৷ এছাড়াও হলদিয়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সরকারের অনুমতি ছাড়াই অবসরপ্রাপ্ত চার কর্মীকে ফের নিয়োগ করেন বলেও অভিযোগ।
আরও পড়ুন- তথ্য গোপনের অভিযোগ! ভবানীপুরে মমতার মনোনয়ন বাতিলের দাবি BJP-র
গত ২৫ জানুয়ারি তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন শ্যামল আদক৷ সম্প্রতি হলদিয়া, ভবানীপুর থানা সহ বিভিন্ন থানায় শ্যামল আদকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ দায়ের করা হয়। চলতি বছরেই শ্যামল আদকের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেয় নিম্ন আদালত। এদিকে এই ঘটনাতেও লেগেছে রাজনীতির রং৷ বিজেপি’র কটাক্ষ, তৃণমূলে থাকাকালীন শ্যামল আদকের কোনও দুর্নীতি সামনে আসেনি। বিজেপিতে যোগ দিতেই তাঁর দুর্নীতি ধরা পড়ে গেল৷ বিজেপি করার জন্যেই এই পদক্ষেপ৷