শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ শ্যামল আদকের স্বস্তি! বাড়ল রক্ষাকবচের মেয়াদ

শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ শ্যামল আদকের স্বস্তি! বাড়ল রক্ষাকবচের মেয়াদ

989900632e3affe0b2a5624fd2fd0ac9

কলকাতা: বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ শ্যামল আদকের রক্ষাকবচের সময়সীমা বেড়েছে, যা নিয়ে তীব্র বিরোধিতা করল রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকারের আইনজীবী শাশ্বত গোপাল মুখোপাধ্যায় আদালতে বলেন, শ্যামল আদকের বিরুদ্ধে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ রয়েছে। আগে বিচারপতি রাজ শেখর মান্থা আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার পর্যন্ত তাকে রক্ষাকবচ দিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন- তথ্য গোপনের অভিযোগ! ভবানীপুরে মমতার মনোনয়ন বাতিলের দাবি BJP-র 

যেহেতু বিচারপতি মান্থা আজ অনুপস্থিত। তাই মামলাটি শুনানির জন্য আসে বিচারপতি রাজশ্রী ভরদ্বাজ এজলাসে। বিচারপতি ভরদ্বাজ জানান, যেহেতু মামলাটি রেগুলার বেঞ্চে শুনানি চলছে তাই তিনি রক্ষাকবচের সময়সীমা শুক্রবার পর্যন্ত বৃদ্ধি করছেন। তবে মামলার শুনানির দিন ধার্য করলেন আগামী বৃহস্পতিবার। ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে শ্যামল আদক কাঁথি থানায় তদন্তকারী অফিসারের কাছে হাজিরা দিয়েছেন। কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছিল, তার বিরুদ্ধে আগামীকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত কোনো কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। সেই সময় বৃদ্ধি করলেন বিচারপতি ভরদ্বাজ। গত সপ্তাহে হাইকোর্ট জানিয়েছিল যে, হলদিয়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ শ্যামল আদকের বিরুদ্ধে কোনও কড়া আইনি পদক্ষেপ করতে পারবে না রাজ্য পুলিশ। সেই প্রেক্ষিতেই মঙ্গলবার পর্যন্ত রক্ষাকবচ দেওয়া হয়েছিল। উল্লেখ্য, তোলাবাজি সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে যার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷ এর পরেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শ্যামল আদক৷ 

আরও পড়ুন- বাগানে সুপারি চুরির ঘটনা দেখে ফেলায় ডোমজুড়ে বৃদ্ধার নলি কেটে খুন

প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ার পরেই হলদিয়া পুরসভার চেয়ারম্যানের পদ ছাড়েন তিনি৷ শুভেন্দুর পথ অনুসরণ করে যোগ দেন বিজেপি’তে৷ এর পরেই তাঁর বিরুদ্ধে টেন্ডার দুর্নীতি সহ একাধিক অভিযোগ তোলে তৃণমূল৷ ২০১৭ সালে হলদিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন শ্যামল আদক। ২০১৮ সালে হলদিয়া ডক থেকে প্রতি লরি পিছু ১০০ টাকা করে তোলা তোলার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে৷ এছাড়াও চেয়ারম্যান থাকাকালীন আত্মীয়ের সংস্থাকে টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে৷ এছাড়াও হলদিয়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সরকারের অনুমতি ছাড়াই অবসরপ্রাপ্ত চার কর্মীকে ফের নিয়োগ করেন বলেও অভিযোগ।  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *