উত্তরবঙ্গকে বাংলার অংশই মনে করেন না মমতা! দাবি দিলীপের

উত্তরবঙ্গকে বাংলার অংশই মনে করেন না মমতা! দাবি দিলীপের

কলকাতা: উত্তরবঙ্গ নিয়ে আবার ক্রমশ উত্তাপ বাড়ছে বাংলায়। আবার আলাদা রাজ্যের দাবি জানান হয়েছে বিজেপির তরফে। এই ইস্যু নিয়ে নতুন করে রাজ্য সরকারের সঙ্গে বাদানুবাদ হচ্ছে বিজেপি নেতাদের। গতকাল গরমের জন্য স্কুল ছুটির সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে মমতার সরকারকে একহাত নেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। সেই প্রেক্ষিতেই উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য হিসেবে ঘোষণা করার আর্জি জানান। এখন এই ইস্যুতেই বড় মন্তব্য করলেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গকে বাংলার অংশ বলেই মনে করেন না।

আরও পড়ুন- অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীর গাড়ি দুর্ঘটনায় গ্রেফতার লরিচালক

অতিরিক্ত তাপপ্রবাহ, গরমের কারণে রাজ্য সরকার স্কুল গুলিতে গরমের ছুটি এগিয়ে দিয়েছে। আগামী ২ মে থেকে শুরু হয়ে যাচ্ছে গরমের ছুটি। কিন্তু উত্তরবঙ্গের স্কুল গুলিতে ছুটি না দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তাঁর কথায়, দক্ষিণবঙ্গের থেকে উত্তরবঙ্গের তাপমাত্রা অনেক বেশি মনোরম। দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহ চলছে, কিন্তু উত্তরবঙ্গে এমন কোনও সমস্যা নেই। তাই উত্তরবঙ্গে কেন গরমের ছুটি দেওয়া হচ্ছে এই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। একই ইস্যুতে তিনি উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য হিসেবে দাবি করেন। এই সুরেই আজ দিলীপ বলেছেন, কলকাতা ছাড়া উত্তরবঙ্গকে বাংলার অংশ মনে করেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোনও স্কুলের অভিভাবক তার কাছে ছুটি দেওয়ার দাবি করেননি। তাহলে কেন স্কুল ছুটি দিল রাজ্য সরকার, এই প্রশ্ন তাঁর।

এদিকে আবার বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী এই ইস্যুতে বলেছেন, উত্তরবঙ্গে সত্যিকারের কোনও উন্নয়ন রাজ্য সরকারের তরফে করা হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী শুধু ঘুরতে আসেন উত্তরবঙ্গে, আর কিছুই করেননি। উত্তরকন্যা থেকে কোনও পরিষেবা পাওয়া যায় না। জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ নিয়েও কোনও পদক্ষেপ হয়নি। তাই উত্তরবঙ্গ যে বঞ্চিত তা তিনি মেনে নিচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, উত্তরবঙ্গের রাজ্যের প্রতি যে ক্ষোভ রয়েছে, তা তিনি সঠিক বলেই মানেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven − 4 =

নন্দীগ্রাম মমতাকে নবান্নে পাঠিয়েছিল, তারাই এবার অবসরে পাঠাবে! খোঁচা দিলীপের

নন্দীগ্রাম মমতাকে নবান্নে পাঠিয়েছিল, তারাই এবার অবসরে পাঠাবে! খোঁচা দিলীপের

খড়গপুর: একে একে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় জনসভা করতে বঙ্গ সফরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই কর্মসূচি অনুযায়ী আজ খড়্গপুরে জনসভা রয়েছে তাঁর। সেই জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে এদিন শুরুতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর সরকারকে চরম আক্রমণ করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বললেন, এক সময় নন্দীগ্রামের মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নবান্নে পৌঁছে দিয়েছিলেন। আর আজ এমন দিন এসেছে যে তারাই মমতাকে কালিঘাট থেকে অবসরে পাঠাবেন! একই সঙ্গে বাংলায় বিজেপি যে আগামী দিনের সরকার গড়বে সে ব্যাপারে কার্যত নিশ্চিত দিলীপ ঘোষ।

এদিন খড়্গপুরের জনসভায় তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন বাংলার মানুষ প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে চান না। কিন্তু আজ এখানে হাজারে-হাজারে মানুষ এসেছেন তাঁকে দেখার জন্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের মুখ দেখতে পাচ্ছেন না তাই সকলকে পা দেখিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে কটাক্ষ করেছেন দিলীপ। সেই সঙ্গে তিনি আরো বলেছেন, বাংলায় বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলে একদিকে যেমন চাকরি হবে অন্যদিকে শিল্পের ওপর জোর দেওয়া হবে। এই প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে তিনি মনে করিয়ে দেন, বাংলায় ন্যানো কারখানা হয়নি শুধুমাত্র তাঁর জন্যই। দিলীপ দিনেও দাবি করেন, এক সময় বিধানসভায় জায়গা পেতে লড়াই করতো বিজেপি, আজ নবান্নে দখলের জন্য লড়ছে তারা। ‌ এইসব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আঘাত নিয়ে ফের একবার কটাক্ষ করে বিজেপির তরফ থেকে বলা হয়, দুয়ারে নয় রাজ্য সরকার এখন উইল চেয়ারে। 

আরও পড়ুন-  মুকুল রায়কে হেভিওয়েট প্রার্থী মনে করি না! ‘যুদ্ধ’ শুরু কৌশানীর

এদিনের জনসভা থেকে ভাষণ দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছেন অভিনেতা তথা বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, বাংলাকে সন্ত্রাস মুক্ত করতে হবে তাই বিজেপিকে ভোট দেওয়া দরকার। খড়্গপুরের মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে তোলাবাজ এবং গুন্ডারা, এদিকে অভিযোগ তোলেন তিনি। উল্লেখ্য, শনিবার বেলা ১১টা নাগাদ কলাইকুণ্ডা বিমানবন্দরে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখান থেকে বেলা ১১টা বেজে ৩৫ মিনিট নাগাদ বিএনআর মাঠে পৌঁছন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ten + 11 =

মিথ্যা শেখাতে গিয়েছিলেন! রুজিরার বাড়িতে মমতার যাওয়া নিয়ে তোপ দিলীপের

মিথ্যা শেখাতে গিয়েছিলেন! রুজিরার বাড়িতে মমতার যাওয়া নিয়ে তোপ দিলীপের

কলকাতা: কয়লা পাচার কাণ্ডে সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে এসে তাঁর স্ত্রী রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআইয়ের দল। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে দেখা‌ যায়, সিবিআইয়ের দল পৌঁছানোর আগেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ইস্যু নিয়ে প্রথম থেকেই সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বললেন, ওখানে নিজের বৌমাকে মিথ্যে কথা সেখানে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! 

দিলীপের মূল বক্তব্য, কয়লা থেকে গরু পাচারের টাকা পরিবারের সদস্যদের নামে লিখে দেওয়া হয়েছে। এবার সিবিআই সব বিষয় নিয়ে তদন্ত করছে। সেই কারণে সেদিন সিবিআই পৌঁছনোর আগে বৌমার কাছে চলে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উদ্দেশ্য ছিল তাকে মিথ্যে কথা বলা শেখানো। এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের দাবি, মিথ্যে কথা বলায় চ্যাম্পিয়ন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার হরিশ মুখার্জী রোডে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবন ‘শান্তিনিকেতন’-এ প্রায় ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট ধরে রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই আধিকারিকরা৷ এদিন রুজিরাকে ব্যাংককের অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত প্রশ্ন করা হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর৷ অন্যদিকে অভিষেক-রুজিরার দাবি, সিবিআইএর সব প্রশ্নের উত্তর দিয়ে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করা হয়েছে৷ ভালো ভাবেই সম্পন্ন হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব৷ 

সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যাঙ্ককের দুটি ব্যাঙ্কে রুজিরা নুরুলার নামে অ্যাকাউন্ট রয়েছে৷ এমনকী এদিন ওই দুই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের পাস বইয়ের প্রথম পাতার জেরক্স কপিও রুজিরার সামনে রাখে সিবিআই৷ জানা গিয়েছে, ওই জেরক্স কপি ২ মিনিট ধরে দেখার পর তার ছবি তুলে রাখতে চান রুজিরা৷ কিন্তু তাঁকে সেই অনুমতি দেওয়া হয়নি৷ এর পরেই রুজিরা জানান, এই দুটি অ্যাকাউন্ট তার নয়৷ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দুটি ব্যাঙ্কে চিঠি পাঠিয়ে যাবতীয় তথ্য চাওয়া হবে৷ এ বিষয়ে বিদেশ দফতরের সঙ্গেও কথা বলছেন সিবিআই গোয়েন্দারা৷   

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × 1 =

নেতারা কোথায় থাকেন, কী খান, সবাই জানেন! ‘১০ তলা হোটেল’ কটাক্ষে দিলীপ

নেতারা কোথায় থাকেন, কী খান, সবাই জানেন! ‘১০ তলা হোটেল’ কটাক্ষে দিলীপ

কলকাতা: বিজেপির রথ যাত্রা নিয়ে এদিন জনসভা থেকে কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্তব্য করেন যে, রথে ১০ তারা হোটেলের সুবিধা নিয়ে ফুর্তি হচ্ছে। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে জবাব দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বললেন, বাড়িতে রান্না করা খাবার খান বিজেপি নেতারা। ১০ তলা হোটেল কোথায় আছে, প্রশ্ন তাঁর। 

এদিন দিলীপ বলেন, বিজেপি নেতারা কোন বাড়িতে থাকেন আর কি খাবার খান, তাদের জীবনযাত্রা কেমন, সেইসব ব্যাপারে সবাই জানে। আলাদা করে কিছু বলে না বিজেপি নেতারা আর তারা কিছু লুকায় না। দিলীপের বক্তব্য, রথের মধ্যে শুধু বসার ব্যবস্থা আছে আর সাধারন মানুষের সঙ্গে যাদের যোগাযোগ করা যায় সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই রকম ব্যবস্থা তারা গোটা দেশের জন্যই নিয়ে থাকেন। এছাড়া বিজেপি নেতারা বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে খান কারণ তাদের কাছে সময় থাকে না অত। এই মন্তব্য করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের ব্যাপকভাবে সমালোচনা করেছেন দিলীপ ঘোষ।

আরও পড়ুন: লালাকাণ্ডে ‘পর্দাফাঁস’ করে শুভেন্দুর প্রশ্ন, ‘তোলাবাজ ভাইপোকে নেতা মানব কেন?’

প্রসঙ্গত, এদিন রায়গঞ্জের জনসভা থেকে বিজেপির এই রথযাত্রাকে চরম কটাক্ষ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেছেন, বিজেপি জগন্নাথদেবের রথযাত্রাকে কালিমালিপ্ত করছে। পাশাপাশি তিনি আরো বলেন, রথ যাত্রার নামে যাত্রা করে বেড়াচ্ছে বিজেপি। মমতার কথায়, রথে তো দেবতারা থাকেন, তাহলে সেখানে বিজেপির নেতারা কেন থাকবে? তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো আরও বলেন, রথের মধ্যে দশতারা হোটেলের ব্যবস্থা নিয়ে ঘুরছে বিজেপি৷ জনতার টাকায় ফুর্তি করে বেড়াচ্ছে৷ বিজেপিকে চরম নিশানা করেন তিনি বলেন, তিনি লজ্জিত ও দুঃখিত যে জগন্নাথদেবের রথযাত্রাকে তারা কালিমালিপ্ত করেছে৷ 

আরও পড়ুনরথযাত্রার নামে ফুর্তি! জগন্নাথদেবকে বিজেপি কালিমালিপ্ত করেছে, ব্যথিত মমতা

বিজেপিকে একহাত নিয়ে মমতা আরও দাবি করেন, বিজেপি এমন ভাব দেখাচ্ছে যে তারা জগন্নাথ দেবের থেকেও বড়! রাবণও রথে চেপে এসে সীতাকে হরণ করেছিল। বাবুরা রথ বিক্রি করেছেন। সেই রথে ১০ তারা হোটেলের সুবিধা নিয়ে ফুর্তি হচ্ছে। মমতার অভিযোগ, রথের পবিত্রতা নষ্ট করে তার ভেতরে বিরিয়ানি, মাংস-পোলাও, কাবাব খাওয়া হচ্ছে।ধর্মের নামে অধর্ম করছে বিজেপি, বলে তোপ দাগেন মমতা। ফাইল ছবি 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × 2 =

কৃষকরা মোদিজীর সঙ্গে আছেন, তাঁরা তাঁকে বিশ্বাস করেন: দিলীপ ঘোষ

কৃষকরা মোদিজীর সঙ্গে আছেন, তাঁরা তাঁকে বিশ্বাস করেন: দিলীপ ঘোষ

কলকাতা: কেন্দ্রীয় সরকারের তিনটি বিতর্কিত কৃষি নিয়ে দেশজুড়ে বিক্ষোভ চলছে। স্বাভাবিকভাবেই অন্যান্য রাজ্যের মত পশ্চিমবঙ্গেও তার প্রভাব পড়েছে। কিন্তু বাংলার কৃষকরা যে একদমই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের পাশে নেই তাই এদিন একবার ফের খোলসা করে বললেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি স্পষ্ট জানালেন, বাংলার কৃষকরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে রয়েছেন, তারা ওনাকে বিশ্বাস করেন।

দিলীপ ঘোষের কথায়, কৃষক আন্দোলন সমর্থন করে তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা এবং সিপিএম এবং কংগ্রেস নেতারা দিল্লি, হরিয়ানায় যাচ্ছেন। সেখানে গিয়ে প্রতিবাদীদের সঙ্গে দেখা করছেন। কিন্তু বাংলায় কৃষকদের নিয়ে কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরোধিতায় একটাও মিছিল করছেন না। কেন এই মিছিল করা হচ্ছে না সে ব্যাপারেও এদিন স্পষ্ট করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।  তাঁর স্পষ্ট দাবি, বাংলার কৃষকরা তাদের সঙ্গ দেবেন না কারণ তারা মোদিজীর সঙ্গে আছেন। তারা তাঁকেই বিশ্বাস করেন। কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরোধিতায় লোক পাওয়া যাবে না এখানে। দিলীপের চ্যালেঞ্জ, ১০ হাজার লোক নিয়ে মিছিল করল বিজেপি পাল্টা ৫০ হাজার লোক নিয়ে মিছিল করবে। এই প্রেক্ষিতে কথা বলতে গিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও এক হাতে নিয়েছেন তিনি। মন্তব্য করলেন, তিনি কৃষকদের আয় এবং তাদের সম্পর্কে যে যে মন্তব্য করছেন তা একটাও বাস্তব নয়। কৃষকদের আয় এবং তাদের সাহায্য নিয়ে রাজ্য সরকার যে মন্তব্য করছে তা অবাস্তব। 

দিলীপ বলছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে তথ্য দিচ্ছেন সেই তথ্য সরকারি কোনো ওয়েবসাইটেও নেই, সেই তথ্য তিনি সাধারণ মানুষকে তিনি দেখাতে পারবেন না। কারণ সেই তথ্য শুধু তার মুখেই রয়েছে। পাশাপাশি কৃষক সম্মান নিধি প্রসঙ্গেও রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেন তিনি। বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, বাংলার কৃষকরা মোদিজীর সঙ্গে আছেন এবং তারা বিশ্বাস করেন যে বিজেপি ক্ষমতায় এলে কৃষক সম্মান নিধির টাকা তারা পাবেন। এই রাজ্যের সরকারের জন্য তারা এই টাকা থেকে বঞ্চিত। বারংবার ধাপে ধাপে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সাহায্য বাংলার গরিব চাষিদের পেতে দিচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে এদিন অভিযোগ করেন তিনি‌।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five + twelve =

‘সাদা শাড়ি ও হাওয়াই চপ্পল দেখে মানুষ সম্মান করেছিল, সবটাই চালাকি’, মমতাকে তোপ দিলীপের

‘সাদা শাড়ি ও হাওয়াই চপ্পল দেখে মানুষ সম্মান করেছিল, সবটাই চালাকি’, মমতাকে তোপ দিলীপের

নিজস্ব প্রতিনিধি, জগদ্দল: মঙ্গলবার সকালে জগদ্দলে চায়ে পে চর্চায় এসে ফের রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ একইসঙ্গে সরাসরি নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও৷ এদিন তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোটা বাংলাকে নিজের জমিদারি ভাবেন৷ হরিশ চ্যাটার্জী স্ট্রিট এখন ব্যানার্জী স্ট্রিট হয়ে গিয়েছে৷ একইসঙ্গে তার কথায় দশ বছর ধরে মানুষের কাছে পৌছতে ব্যর্থ হয়েছে রাজ্য সরকার৷ এখন কলার ধরে তার জবাব নেবে জনতা৷

রাজ্যের চিকিত্সা ব্যবস্থা নিয়েও এদিন প্রশ্ন তোলেন দিলীপ৷ বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর কথা অনুযায়ী রাজ্যের চিকিত্সা ব্যবস্থা যদি এতই ভালো হত তাহলে এত লাইন পড়ছে কেন দুয়ারে সরকারে? সবটাই ভাঁওতাবাজি৷ মমতাকে তোপ দেগে দিলীপ বলেন, ওনার সাদা শাড়ি ও হাওয়াই চপ্পল দেখে বাংলার মানুষ ওনাকে সম্মান করেছিল৷ তবে এখন বোঝা যাচ্ছে পুরোটাই চালাকি৷ এছাড়াও এদিন বিশ্বভারতীর প্রসঙ্গ তুলে দিলীপ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে রাজনীতির বাইরে রাখা উচিত৷ উনি সব জায়গায় রাজনীতি করেন৷

একইসঙ্গে নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনকে নিয়েও এদিন ফের বিস্ফোরক মন্তব্য করেন দিলীপ৷ বলেন, ‘দুর্ভিক্ষে নেই, মহামারীতে নেই, আমফানে নেই, দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন৷ তাদের নীতিকথা শুনব না৷’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

7 + six =