মুকুল রায়কে হেভিওয়েট প্রার্থী মনে করি না! ‘যুদ্ধ’ শুরু কৌশানীর

মুকুল রায়কে হেভিওয়েট প্রার্থী মনে করি না! ‘যুদ্ধ’ শুরু কৌশানীর

কলকাতা: সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ দিয়েছিলেন অভিনেত্রী কৌশানী এবং প্রায় রাতারাতি আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে গিয়েছেন তিনি। এদিকে দীর্ঘ চাপানউতোরের পর কৃষ্ণনগর উত্তরের বিজেপি প্রার্থী করেছে তাদের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়কে। তৃণমূল কংগ্রেসে থাকাকালীন মুকুল রায় চাণক্য নামে পরিচিত ছিলেন, কিন্তু ভোট ময়দানে লড়াই করার অভিজ্ঞতা খাতায়-কলমে তাঁর কম। সেই ইস্যু তুলে ধরেই মুকুল রায়কে নিয়ে কটাক্ষ করলেন কৃষ্ণনগর উত্তরের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কৌশানী মুখোপাধ্যায়। তিনি বললেন, যিনি কখনো কোনো ভোটে জয়লাভ করেননি, তাঁকে হেভিওয়েট প্রার্থী বলে মনে করেন না তিনি। আর মুকুল রায় যদি হেভিওয়েট হন, তাহলে কি তিনি লাইটওয়েট, প্রশ্ন তোলেন কৌশানী।

২০০১ সালে শেষ নির্বাচনে লড়াই করেছিলেন মুকুল রায় এবং একেবারেই ইতিবাচক ফল করতে পারেননি তিনি। ২০২১ সালে ফের একবার ভোট ময়দানে তিনি। এবার কার্যত বাধ্য হয়ে মুকুল রায়কে প্রার্থী করেছে বিজেপি এমন ধারণা অনেকেরই কারণ, আংশিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করার পর যেভাবে চারিদিকে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে তাতে ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে চাইছে তারা। সেই কারণে একাধিক সাংসদকে প্রার্থী করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি শিবির। আবার এমন অনেককে প্রার্থী করা হয়েছে যারা নিজেদের নাম শুনে অবাক হয়েছেন এবং সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন বিজেপির হয়ে ভোটে লড়বেন না। তাদের মধ্যে অন্যতম প্রয়াত প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের স্ত্রী শিখা মিত্র, তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক মালা সাহার স্বামী তরুণ সাহা। এই পরিস্থিতিতে মুকুল রায় প্রার্থী হওয়া বিজেপিকে ইতিবাচক ফল দেবে কি দেবে না সেটা পরের কথা কিন্তু ইতিমধ্যেই ভোট যুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে। কৌশানী স্পষ্ট জানাচ্ছেন, যিনি কোনদিন নির্বাচনে লড়েননি তাঁকে হেভিওয়েট প্রার্থী বলা যায় না। আর বিজেপির কাছে প্রার্থী এতই কম যে সাংসদদের বাধ্য হয়ে দাঁড় করাতে হচ্ছে নির্বাচনে। এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য ভাবে বাংলা থেকে বহিরাগতদের তাড়াবেন বলে আত্মবিশ্বাসী মন্তব্য করেন তিনি। যদিও তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কৌশানীর মন্তব্যকে একেবারেই পাত্তা দিচ্ছে না বিজেপি।

আরও পড়ুন: একাধিক মহিলার সঙ্গে সহবাস করেছেন স্বামী! বিস্ফোরক বিজেপি প্রার্থীর স্ত্রী

গেরুয়া বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মুকুল রায় কে এবং তাঁর রাজনৈতিক পরিচয় কী, সে ব্যাপারে কিছুই জানেন না কৌশানী। তাই মুকুল রায় সম্পর্কে তিনি যা মন্তব্য করছেন তা অবান্তর এবং অবাস্তব। এই প্রসঙ্গে কৌশানীকে গুগল ব্যবহার করে মুকুল রায় সম্পর্কে জেনে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে তারা। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *