নয়াদিল্লি: তালিবান আফগানিস্তান দখল করে নেওয়ার পর ভারতের চিন্তা যে আগের থেকে অনেক গুণ বেড়ে গিয়েছে তা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রথম দেখেই চিনতে পেরেছিল কাশ্মীর নিয়ে কারণ পাকিস্তান তালিবানের সাহায্য নিতে পারে বলে অনুমান। যদিও ক্ষমতা দখলের পর তালিবান সাংবাদিক বৈঠক করে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল যে তারা কাশ্মীর ইস্যুতে নাক গলাবে না। কিন্তু পরবর্তী ক্ষেত্রে রং বদলেছে তালিবানের। এবার এই কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে ভারতকে সতর্ক করল রাশিয়া। বলা হল আফগানিস্তানের সন্ত্রাস কাশ্মীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে যখন-তখন।
আরও পড়ুন- BJP ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন চন্দনা? ‘দ্বিতীয় বিয়ে’র গুঞ্জনের মাঝেই দলবদলের জল্পনা তুঙ্গে
আফগানিস্তান এবং কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে ভারতকে সতর্ক করেছেন রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত নিকোলাই কুদাসেভ। তিনি জানিয়েছেন, আফগানিস্তান থেকে তালিবান অন্যান্য দেশে সন্ত্রাস ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতে পারে এবং ভারতের পক্ষে তা বেশি উদ্বেগজনক কারণ কাশ্মীর ইস্যু। তিনি আরো বলেছেন, এই বিষয় নিয়ে এমনিতেই চিন্তিত রাশিয়া কিন্তু ভারতের চিন্তা আরো বৃদ্ধি পাবে কারণ কাশ্মীর নিয়ে সমস্যা রয়েছে। আফগানিস্তান দখল করার পর তালিবানকে সমর্থন দেবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে পাকিস্তান। তাই সব মিলিয়ে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে পরবর্তী ক্ষেত্রে পরিস্থিতি জটিল হবে তা বলাই বাহুল্য। এক্ষেত্রে রাশিয়ার সতর্কবাণী অবশ্যই ভারতের চিন্তা আরো বাড়িয়ে দেবে। যদিও এক্ষেত্রে ভারতকে আশ্বাস দিয়ে রাশিয়া স্পষ্ট জানিয়েছে, সন্ত্রাসবাদের পরিস্থিতি তৈরি হলে দুই রাষ্ট্র একসঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলার কাজ করবে কারণ এই ইস্যু দুই দেশের পক্ষেই উদ্বেগজনক।
আরও পড়ুন- ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ড: দেবাঞ্জন দেবকে জেলে গিয়ে জেরা করার অনুমতি পেল ED
এদিকে, নতুন সরকার গঠন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ বলে ঘোষণা করেছে তালিবান। এই প্রেক্ষিতে একাধিক দেশকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও ভারতকে আমন্ত্রণ জানায়নি তারা। নতুন সরকার গঠনের যে অনুষ্ঠান তাতে পাকিস্তান, চিন, রাশিয়া, কাতার, তুরস্ক এবং ইরানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে কোথাও ভারতের নাম নেওয়া হয়নি। পরবর্তী ক্ষেত্রে ভারতকে আমন্ত্রণ জানানো হবে কিনা সে ব্যাপারেও কিছু স্পষ্ট করা হয়নি। উল্লেখযোগ্য ব্যাপার, কিছুদিন আগেই তালিবানের সঙ্গে বৈঠকে বসে ছিল ভারত এবং সেই বৈঠকে তাদের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেওয়া হয়েছিল। ভারতের সেই বার্তা ভেবে দেখবে বলে জানিয়েছিল তালিবান।