কিয়েভ: তাঁর নাম সভিয়াতোস্লাভ ইউরাশ। তাঁর বয়স মাত্র ২৬ বছর। আর তাঁর সবথেকে বড় পরিচয় হল, তিনি ইউক্রেনের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ সাংসদ। রাশিয়া এখন ইউক্রেন আক্রমণ করেছে। সেনাবাহিনীর মতোই অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে লড়ায় করার জন্য ময়দানে নেমেছে ইউক্রেনের আম আদমি থেকে শুরু করে রাজনীতিবিদরাও। তাদের মধ্যেই একজন এই ইউরাশ। ঘটনাচক্রে তিনি আবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন এক সময়ে।
আরও পড়ুন- রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বাধতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং ‘#তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ’
ইউরাশের জন্ম ১৯৯৬ সালে। ২০১৩ সালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছুদিনের জন্য পড়াশোনা করতে এসেছিলেন। কিন্তু ইউরোময়দান আন্দোলন শুরু হতে তিনি দেশে ফিরে আসেন। ইউরাশ সার্ভেন্ট অফ পিপল দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। তিন বছর আগেই দেশের সর্ব কনিষ্ঠ সাংসদ হয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন তিনি। কিন্তু আজ তিনিই হাতে একে-৪৭ নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে রয়েছে রাশিয়ান সেনার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য। তাঁর সেই ছবি এখন সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল। রাশিয়া যেভাবে ইউক্রেন দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে তার থেকেও বেশি মরিয়া ইউক্রেনবাসী নিজেদের স্বাধীনতা রক্ষার্থে। সেটা আরও বেশি স্পষ্ট হয় ইউরাশের কথাতেই। তিনি বলেন, তাদের যা কিছু আছে তাই দিয়েই লড়াই করবেন। রাশিয়ার কাছে মাথা নত করবেন না। অন্য দেশের সাহায্য নেবেন, কিন্তু নিজেদের জমি ছাড়বেন না।
আরও পড়ুন- ইউক্রেনে আটকে থাকা ভারতীয়রা ফিরতে পারলেন না! অবতরণই হয়নি বিমানের
ইতিমধ্যেই কিয়েভ শহরে চলছে চূড়ান্ত লড়াই। জানা গিয়েছিল, ইউক্রেনের রাজধানীর নাকা পয়েন্ট ভাসিলকিভে ইউক্রেনের জাতীয় পুলিশের ছদ্মবেশে ঢুকছিল রাশিয়ান বাহিনী। সেখানে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে ইউক্রেন সেনা। কিন্তু লাভের লাভ কিছু হয়নি। গুলিবর্ষণে অনেকেই প্রাণ হারান। এরপর সেখান থেকেই শয়ে শয়ে রাশিয়ান সেনা ঢুকছে কিয়েভে। তাদের আটকাতে যেমন তৈরি হচ্ছে ইউক্রেন সেনা, পাশাপাশি হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছেন বহু অবসরপ্রাপ্ত সেনা এবং সাধারণ নাগরিক। কিয়েভের রাস্তায় রাশিয়ান সেনার সঙ্গে তাদের লড়াই চলছে।