কলকাতা: কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের গাড়িতে হামলার ঘটনা নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। খোদ নিশীথের আইনজীবী পুলিশের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তুলেছেন। সেই নিয়ে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়েছে। এই শুনানিতে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে করা হয় একাধিক অভিযোগ।
আরও পড়ুন- ‘ক্রমশ প্রকাশ্য’ সুজাতার জীবনে নতুন বসন্ত? যা বললেন তৃণমূলের নেত্রী..
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পক্ষে সৌম্য মজুমদার বলেন, বিজেপি সমর্থকরা যখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে নিয়ে আসছিল তখনই সেখানে শাসক দলের লোকেদের জমায়েত ছিল। সেখানে পুলিশও উপস্থিত ছিল। এরপর নিশীথ প্রামাণিক পৌঁছনোর পর থেকেই পাথর ছোড়া শুরু হয়। তাঁর এও অভিযোগ, তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহর নির্দেশে এই জমায়েত করে শাসক দল। পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হয়েছে। আরও বড় দাবি করে বলা হয়েছে, নিশীথ প্রামাণিকের ওপর হামলার পিছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে। কারণ তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য। তাঁর ওপর আক্রমণ হলে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধী দলকে আটকানোর, ভয় দেখানোর যাবে।
আরও পড়ুন-শান্তনু-ঘনিষ্ঠ দুই ব্যক্তিকে রিসর্টে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ, হাতে এল বহু নথি, প্রিন্টার আনল ইডি
আইনজীবীর আরও বক্তব্য, দিনহাটা অত্যন্ত ছোট একটা জায়গা। একজন মন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে যদি প্রশ্ন তৈরি হয় তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার কী হবে? এই যুক্তি দেখিয়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে তদন্তে নিযুক্ত করা উচিত বলে দাবি তোলা হয়েছে, পাশাপাশি, এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা দরকার বলেও জানান হয়েছে আদালতে। এদিকে এএসজি অশোক চক্রবর্তী মন্তব্য করেন, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর ওপর হামলা করা হচ্ছে আর পুলিশ কিছু করতে পারছে না, এটা রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভেঙে না পড়লে সম্ভব নয়।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”শান্তনু ঘনিষ্ঠের ফ্ল্যাটে মিলল TET-এর ওএমআর শিট! OMR sheets found in Ayan Sil’s flat” width=”560″>
পুলিশের ভূমিকা নিয়েও হাজারো প্রশ্ন তোলা হয়েছে এদিন। দাবি করা হয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকরা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে কালো পতাকা দেখানোর পরিকল্পনা করেছিল আগেই, তাই পুলিশের উচিত ছিল তাদের আটকানো। কিন্তু তা করেনি।পাশাপাশি এফআইআর দায়ের করার ক্ষেত্রেও পুলিশ সম্পূর্ণ পক্ষপাত করেছে বলে অভিযোগ। তবে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল জানিয়েছেন, যে ব্যক্তি মামলা করেছেন তিনি ঘটনার দিন ওইখানে উপস্থিত ছিলেন না। এলাকা শান্তিপূর্ণ ছিল। কারণ পুলিশের প্রোটোকল ছিল। ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখার অনুরোধ করেন তিনি।
আরও পড়ুন- এবার মহাকাশে ঘুরতে যেতে পারেন আপনিও! ব্যবস্থা করছে ইসরো, কিন্তু খরচ কত জানেন?
একই সঙ্গে এও জানান, এই ঘটনায় সায়েবগঞ্জ থানার তরফে একটি স্বতঃস্ফূর্ত মামলা দায়ের হয়েছে। এবং এখন পর্যন্ত ২১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।ঘটনাস্থান ছাড়া ও কাছা জায়গার সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করা হয়েছে। কিছু অস্ত্রশস্ত্র, লাঠি, মোটর সাইকেল উদ্ধার করেছে। এছাড়াও পুলিশ কিছু কার্তুজের ফাটা সেল উদ্ধার করেছে। মূল মামলার শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত।