কিয়েভ: বিয়ের পর মধুচন্দ্রিমার স্বপ্নে বিভোর হয়ে থাকে নবদম্পতিরা৷ একে অপরের চোখে চোখ রেখে রোমাঞ্চকর এক সফরের অপেক্ষায় কাটে দিন৷ ব্যতিক্রমী ছিলেন না ইয়ারনা ও সাভিয়াতটসলাভ৷ তবে নিয়তি তাঁদের জন্য লিখে রেখেছিল অন্য এক জীবন৷ তবে ইয়ারনা ও সাভিয়াতটসলাভের প্রেমকাহিনী রুপোলি পর্দার কোনও গল্পের চেয়ে কম নয়৷
আরও পড়ুন- বেলারুশের বৈঠক শেষ, ইউক্রেন থেকে সেনা প্রত্যাহারের দাবি রাশিয়ার কাছে
দীর্ঘ প্রেম পর্বের পর আই ডু বলে পথ চলা শুরু করেছে তাঁদের৷ ভালোবাসার আবরণে ঘিরে তৈরি নতুন সংসার৷ কিন্তু দেশের মাটি এখন রক্ত লাল৷ যুদ্ধ পরিস্থিতি এক লহমায় বদলে দিল তাঁদের জীবন৷ দেশের আকাশে যু্দ্ধ বিমানের গর্জন, বিস্ফোরণের শব্দ, চারদিকে শুধুই আতঙ্কের ছবি৷ এহেন ভয়াল পরিস্থিতির তাঁরা শুধু নিজেদের কথা ভাবতে পারেনি তাঁরা৷ একে অপরের হাত শক্ত করে ধরে তাঁরা ব্রতী হয়েছে দেশরক্ষায়৷ হাতে তুলে নিয়েছে একে ৪৭৷ তাঁদের এই সাহসী সিদ্ধান্তকে কুর্নিশ জানিয়েছে গোটা বিশ্ব৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>
কথা ছিল মে মাসে তাঁদের শুভ পরিণয় হবে৷ কিন্তু, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের একটা সিদ্ধান্ত সবকিছু ওলট পালট করে দিয়েছে৷ সব পরিকল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছে। ইউক্রেনে এখন যুদ্ধ পরিস্থিতি৷ আগামী দিনে তাঁদের দেশের ভবিষ্যৎ কোন পথে এগোবে তা নিয়ে সন্দিহান ইউক্রেনবাসী। এমন পরিস্থিতিতে এই জন্মে একে অপরের হাত ধরতে যুদ্ধের মধ্যেই বিয়ে সেরে ফেলেছেন ২১ বছরের ইয়ারনা ও ২৪ বছরের সাভিয়াতটসলাভ। বিয়ের পর আর চার-পাঁচজন নবদম্পতির দিনযাপন হয়নি তাঁদের৷ গুছিয়ে সংসার করার বদলে এই নবদম্পতি হাতে তুলে নিয়েছে অস্ত্র। রুশ বাহিনীকে রুখতে ইউক্রেনের সেনা বাহিনীতে যোগ দিয়েছেন তাঁরা। মধুচন্দ্রিমা কাটছে বন্দুক হাতে৷