চিনে সেনা অভ্যুত্থান? গৃহবন্দি শি জিনপিং? সোশ্যাল মিডিয়ায় গুঞ্জন

চিনে সেনা অভ্যুত্থান? গৃহবন্দি শি জিনপিং? সোশ্যাল মিডিয়ায় গুঞ্জন

বেজিং:  চিনে সেনা অভ্যুত্থানের খবরে তোলপাড় গোটা বিশ্ব। জোর গুঞ্জন, গৃহবন্দি করা হয়েছে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই খবর চাউর হতেই বিশ্বজুড়ে চাঞ্চল্য। 

আরও পড়ুন- হিজাব-বিরোধী প্রতিবাদে উত্তাল ইরান, পুলিশের গুলিতে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে

আগামী অক্টোবর মাস থেকে শুরু হবে চিনা কমিউনিস্ট পার্টির ২০ তম সম্মেলন। তার আগেই কি চিনে সেনা অভ্যুত্থান ঘটল? গৃহবন্দি হলেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং? এই খবরে চারিদিকে শোরগোল পড়লেও, এ নিয়ে একটি বাক্যও খরচ করেনি চিনা সংবাদমাধ্যমগুলি৷ তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া খবরগুলিতে বলা হয়েছে, জিনপিং-কে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি বা পিএলএ-র সর্বাধিনায়কের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবং এর পর থেকেই গৃহবন্দি তিনি৷

সোশ্যাল মিডিয়ায় চিন নিয়ে আরও কিছু চাঞ্চল্যকর দাবি উঠে এসেছে৷ সেখানে বলা হয়েছে, চিনে সেনা অভ্যুত্থান ঘটিয়ে ক্ষমতা দখল করেছেন জেনারেল লি কোয়াওমিং। জিনপিং-কে হঠিয়ে তিনিই এখন চিনের প্রেসিডেন্ট। এদিকে, শুক্রবার ব্লুমবার্গের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, চিনের এক আদালত সেদেশের এক প্রাক্তন নিরাপত্তা আধিকারিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। জিনপিংয়ের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক চক্রান্ত করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এরপরই শোনা যায় গৃহবন্দি জিনপিং৷  

এদিকে, এই খবর চাউর হতেই বাতিল একের পর এক বিমান৷ কোনও ভাবেই চিনে ঢুকতে পারছে না বিদেশি বিমানগুলি৷ ঠিক কী ঘটে চলেছে বেজিং-এর অন্দরে? সমস্ত বিরোধী কন্ঠই কি মুছে দিচ্ছে পিপল লিবারেশন আর্মি? জিনপিং- সহ সকল কমিউনিস্ট নেতাকেই কি গ্রেফতার করা হচ্ছে? তবে সেনা অভ্যুত্থান ঘটিয়ে চিনে শুরু গৃহযুদ্ধ? প্রশ্ন অনেক৷ কিন্তু চিনের প্রাচীর ভেদ করে কোনও খবর জানার উপায় নেই৷ তবে পরিস্থিতি যে জটিল তা স্পষ্ট৷ সূত্রের খবর, শতাংশের বেশি বিমান বাতিল করে দিয়েছে বেজিং৷ বাতিল হওয়া বিমানের সংখ্যা প্রায় ৯ হাজার ৫৮৩।  

এদিকে, শেষবার প্রকাশ্যে জিনপিংকে দেখা গিয়েছিল উজবেকিস্তানের এসসিও মঞ্চে। গত ১৫ ও ১৬ সেপ্টেম্বর উজবেকিস্তানের সমরখন্দে দু’দিনের ‘সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন’-এর সম্মেলনে মোদী ও জিনপিং আলোচনার টেবিলে বসতে পারেন বলে মনে করেছিল কূটনীতিকদের একাংশ। কিন্তু তেমনটা হয়নি। বরং দুই রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন সম্পূর্ণ ভিন্ন মুখে৷ কানাঘুষো, ওই বৈঠক থেকে দেশে ফেরার পরই নাকি গৃহবন্দি করা হয়েছে চিনা প্রেসিডেন্টকে৷