তেহরান: হিজাব পরেননি কেন? ‘শাস্তি’ দিতে তরুণীকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে ওই তরুণীর রহস্যমৃত্যু হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এখন ইরান হিজাব-বিরোধী প্রতিবাদে উত্তাল। অভিযোগ, নীতি পুলিশির কারণে ওই তরুণীকে খুন করা হয়েছে। তার পর থেকেই গোটা ইরান জুড়ে মৌলিক অধিকারের দাবিতে পথে নেমেছে সহস্র মানুষ। অন্ততপক্ষে ইরানের ৮০টি শহরে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে সরব হয়েছে সকলে। মহিলার চুল কেটে, হিজাব ছুড়ে ফেলে দিয়ে তা আগুনে পুড়িয়ে দিচ্ছেন। ছেলেরাও চুল কেটে প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
আরও পড়ুন: খুব দ্রুত আগমণ ঘটাবে ‘ডিজিজ এক্স’! শঙ্কিত বিজ্ঞানীরা কার্যত দিশাহীন
মাহশা আমিনি নামের ওই তরুণীর মৃত্যুর পরেই এই গণআন্দোলন শুরু হয়েছে। কিন্তু পুলিশের গুলিতে অনেকের মৃত্যু হয়েছে বলেও খবর। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘ইরান হিউম্যান রাইটস্’ দাবি করেছে যে, এখনও পর্যন্ত পুলিশি গুলিতে মৃতের সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়েছে। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু সেই তথ্য ভুল বলেই দাবি। শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ইরানের ৮০টি শহরে মানবাধিকার এবং মৌলিক অধিকারের দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন সাধারণ মানুষ। রাজধানী তেহরান সহ বিভিন্ন জায়গায় জড়ো হয়ে সরকার বিরোধী আওয়াজ তোলা হচ্ছে।
যদিও সরকার চুপ করে বসে নেই। শুক্রবার পর্যন্ত পর পর তিন দিন ইরানে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ। বিক্ষোভকারীদের সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করতে তাদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস এবং গুলিও চালাচ্ছে পুলিশ। ইতিমধ্যে একাধিক ভিডিও এবং ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে পরিস্থিতি সামাল দিতে বদ্ধপরিকর ইরানের সরকার। উল্লেখ্য, মাহশা গাড়িতে যাওয়ার সময় হিজাব না পরায় তাঁকে নামিয়ে সরাসরি পুলিশের গাড়িতে তুলে থানায় নিয়ে যাওয় হয়। থানা থেকে ওই তরুণীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে প্রথমে জানান হয় তিনি কোমায় চলে গিয়েছেন। কিছু সময় পর তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।