Aajbikel

ঘুড়ে যেতে পারে যুদ্ধের মোড়! বিশ্বের কোন কোন দেশের হাতে রয়েছে শক্তিশালী ট্যাঙ্ক?

 | 
ট্যাঙ্ক

নয়াদিল্লি: বর্ষপূর্তির দোরগোড়ায় ভারত-ইউক্রেন যুদ্ধ৷ গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছিল পুতিনের দেশ৷ এক বছরের মাথায় দাঁড়িয়েই যুদ্ধ থামার নাম নেই৷ বরং শীতের মরশুমে গতি বদলাতে শুরু করেছে রাশিয়ার অভিযান। ক্রমাগত দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। এই অবস্থায় ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের Challenger-2 ট্যাঙ্ক দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে ব্রিটেন। অন্যদিকে জার্মানির থেকে আসতে পারে Leopard ট্যাঙ্ক৷ তবে মস্কোর হাতে রয়েছে T-90 ও Armata-র শক্তিশালী ট্যাঙ্ক৷ বর্তমান বিশ্বে একাধিক দেশের হাতে রয়েছে শক্তিশালী ট্যাঙ্ক বাহিনী। বিশেষজ্ঞদের দাবি, শুধুমাত্র এই সকল ট্যাঙ্কের জোরেই যে কোনও যুদ্ধের গতি বদলে দেওয়া সম্ভব। কোন কোন দেশের হাতে কী কী ট্যাঙ্ক রয়েছে? 

আরও পড়ুন- রাস্তায় বেরিয়ে বড় অঙ্কের জরিমানা দিতে হল সুনাককে! কেন


উন্নত ট্যাঙ্ক বাহিনীর কথা বলতে গেলে প্রথমেই চলে আসে মার্কিন সেনাবাহিনীর কথা। মূলত  M1A2 Abrams ট্যাঙ্ক ব্যবহার করে থাকে আমেরিকার বাহিনী৷ এই ট্যাঙ্কটি তৈরি করেছে মার্কিন সংস্থা জেনারেল ডাইনামিক্স ল্যান্ড সিস্টেমস৷ তাদের তৈরি এই ট্যাঙ্কে রয়েছে ১২০ মিলিমিটারের বন্দুক। যা দিয়ে বিভিন্ন রাউন্ডের গুলি ছোড়া সম্ভব। সাঁজোয়া যান থেকে শুরু করে ফাইটার জেট কিংবা ড্রোন – নিখুঁত নিশানায় যে কোনও লক্ষ্যবস্তুকে উড়িয়ে দিতে সক্ষম এই ট্যাঙ্ক।

শক্তিশালী ট্যাঙ্ক রয়েছে ভ্লাদিমি পুতিনের দেশেও৷ রুশ সেনাবাহিনীর প্রধান যুদ্ধ ট্যাঙ্ক হল T-14 Armata (টি-১৪ আরমাটা)। মাত্র দু’বছর আগে রুশ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয় উরালভাগনজাভোড সংস্থার তৈরি এই ট্যাঙ্ক। এই ট্যাঙ্কে রয়েছে ১২৫ মিলিমিটার ও ২এ৮২-১এম স্মুথবোর বন্দুক। পাশাপাশি,  শেল লোড করার জন্য ইনস্টল রয়েছে স্বয়ংক্রিয় একটি লোডার৷ ৫০০ কিলোমিটার দূরে থাকা লক্ষ্যবস্ততেও নির্ভুল আঘাত হানতে পারে এই ট্যাঙ্ক। এছাড়াও ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার বেগে ছুটতে পারে রুশ ফৌজের T-14 Armata। 


পিছিয়ে নেই ইজরায়েলও৷ ২০০৪ সালে ইজরায়েলি সেনাবাহিনীতে যোগ দেয় Merkava Mk4 ট্যাঙ্ক। যা বিশ্বের অন্যতম সেনা সুরক্ষিত ট্যাঙ্ক হিসেবে পরিচিত৷ এই ট্যাঙ্কে রয়েছে ১২০ মিলিমিটার স্মুথবোর গান বা বন্দুক। এর আরও একটি বিশেষত্ব রয়েছে৷ এই ট্যাঙ্ক থেকে অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল ছোড়া যায়।


চিনের পিপলস লিবারেশ আ:মি বা লাল ফৌজের হাতে রয়েছে তৃতীয় প্রজন্মের ট্যাঙ্ক VT4 MBT-3000। ১২৫ মিমি স্মুথবোর গান সম্পন্ন এই ট্যাঙ্ক যুদ্ধের মোড় ঘোড়াতে সক্ষম৷ এই ট্যাঙ্ক থেকে ছোড়া যায় ক্ষেপণাস্ত্রও। সম্প্রতি পড়শি পাকিস্তানও এই ট্যাঙ্ক কিনেছে বলে সূত্রের খবর৷ 

ফরাসি বাহিনীর তৃতীয় প্রজন্মের ট্যাঙ্ক হল Leclerc। এতে রয়েছে 120 মিমি স্মুথবোর Gun। এছাড়া ট্যাঙ্কে লাগানো আছে ১২.৭ মিলিমিটার মেশিনগান। যা থেকে ৭.৬২ ক্যালিবারের গুলি ছোড়া যায়।
 

Around The Web

Trending News

You May like