কাবুল: তালিবান ফিরেছে আফগানিস্তানে৷ কিন্তু অন্য রূপে৷ লুঠ-তরাজ রুখে তাদের গায়ে লেগেছে কর্পোরেটের ছোঁয়া৷ চোস্ত ইংরেজিতে সরকারের আগামীর পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলছেন তালিবান মুখপাত্র৷ উল্টো পথে হেঁটে তালিবান দিয়েছে উন্নয়ন ও শান্তির বার্তা৷ এই বদলে যাওয়া তালিবানের আশ্বাস, আফগানিস্তান কোনও দেশের কাছে হুমকি হয়ে দাঁড়াবে না৷ আফগান ভূমি ব্যবহার করে প্রতিবেশী দেশের ক্ষতি হতে দেবে না তারা৷
আরও পড়ুন-বন্দুকধারী তালিবানের রক্তচক্ষু উপেক্ষা, অধিকার দাবি চার সাহসিনীর
রবিবার কাবুল দখলের পর মঙ্গলবার প্রথম সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তালিবান মুখপাত্র যাবিউল্লাহ মুজাহিদিন৷ সারা বিশ্বের কাছে তাঁর বার্তা, ‘‘ইসলামিক আমিরশাহি বিশ্বের প্রতিটি দেশকে আশ্বস্ত করছে যে, আফগানিস্তান কাউকে হুমকি দেবে না।’’ তাঁর কথায়, ‘‘যুদ্ধ শেষ৷ সকলকে নিয়ে সরকার গড়তে চাই৷ দেশের ভিতরে বা বাইরে, আমরা কারও সঙ্গে শত্রুতা করতে চাই না৷ আমাদের নেতার নির্দেশে আমরা সকলকে ক্ষমা করে দিয়েছি৷’’
২০ বছর পর ফের আফগানিস্তান তালিবানের হাতে যাওয়ার পরই উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছিল৷ কিন্ত সব রকম ভাবে গোটা বিশ্বকে নিজেদের বদলে যাওয়া রূপ প্রমাণ করতে মরিয়া তালিবান৷ তাদের সাফ কথায়, কেই আফগানিস্তানের জমি ব্যবহার করে প্রতিবেশী দেশের ক্ষতি করতে পারবে না৷ কাবুলে থাকা বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের রক্ষার দায়িত্বও তাদের৷ সেই সঙ্গে তিনি আরও জানান, তালিবান নিজেদের রক্ষা নিজেরাই করতে পারে৷ আফগানিস্তানে থাকা আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিদেরও রক্ষার দায়িত্ব তালিবানের৷
আরও পড়ুন- মেয়েরাও কাজ করবেন, পড়াশুনা চালাবেন! জানাচ্ছে তালিবান
পাশাপাশি নারী সুরক্ষার বিষয়েও আশ্বস্ত করা হয়েছে৷ যাবিউল্লাহ বলেন, ‘‘নির্দিষ্ট শরিয়তি নিয়ম মেনে মহিলারা কাজ করার সুযোগ পাবেন৷ মহিলা সাংবাদিকরাও কাজ করতে পারবেন৷’’