কাবুল: তালিবান শাসন কী হতে পারে তার একটা আন্দাজ গোটা বিশ্বের রয়েছে। তাদের শাসনে সবথেকে বেশি অসুরক্ষিত মেয়েরা, এ সবারই জানা। দীর্ঘ ২০ বছর পর আবার আফগানিস্তান দখল করার পর সেই পুরনো তালিবান শাসনের ভয়ে কাঁটা হয়ে গিয়েছেন সে দেশের মেয়েরা। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু ফতোয়া জারি করা হয়েছে বলেও জানা গিয়েছিল যেখানে একাধিক বিধি নিষেধ জারি করা হয়েছিল মহিলাদের ওপর। কিন্তু ক্ষমতা দখলের পর প্রথম সাংবাদিক বৈঠক করে তালিবান নারী স্বাধীনতার ব্যাপারটি স্পষ্ট করেছে! জানান হয়েছে, মেয়েরা প্রাইমারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত পড়াশুনা করতে পারবেন, এমনকি কাজ করতে পারবেন তবে শরিয়ত আইন মেনে। তাদের সরকারি কাজে যোগ দেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছে তালিবান! এদিকে আবার বোরখা বাধ্যতামূলক করা হয়নি, তবে হিজাব পরতে হবে বলে জানান হয়েছে।
আরও পড়ুন: কাশ্মীর ইস্যুতে নাক গলাবে না তারা! স্পষ্ট করল তালিবান
সাংবাদিক বৈঠক করে তালিবান মুখপাত্র জাবিউল্লা মুজাহিদ জানিয়েছে, মহিলাদের কাজ করার অধিকার দেওয়া হবে। তবে সবই হবে শরিয়ত আইন মেনে। আইনের বাইরে গিয়ে কিছুই হবে না। এদিকে আবার তালিবান জানিয়েছে, আফগান মেয়েদের বোরখা পরা জরুরি নয়। তারা না চাইলে কেউ তাদের বাধ্য করবে না। তবে হিজাব পরতে হবে, তবে সেটি কোন ধরণের হিজাব তা স্পষ্ট করা হয়নি। একই সঙ্গে বলা হয়েছে যে, ২০ বছর আগে দুনিয়া যেমন ছিল, আজ আর তেমন নেই, অনেক পরিবর্তন এসেছে। সেই প্রেক্ষিতেই মহিলাদের শিক্ষা নিয়েও ভাবছে তালিবান। স্পষ্ট জানান হয়েছে, আফগান মহিলারা প্রাইমারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত পড়তে পারে। যদিও এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে ‘সরকারি’ কোনও ঘোষণা হয়নি। বলা হয়েছে যে, এখন আইন তৈরির প্রক্রিয়া চলছে, তা হয়ে গেলেই বাকি জিনিস স্পষ্ট করা হবে।
পাশাপাশি অন্যান্য দেশ যাতে তাদের ভয় না পায় সেই ব্যাপারেও স্পষ্ট করেছে তালিবান। জানান হয়েছে, আফগান ভূমিকে অন্য কোনও শক্তির সুবিধার জন্য ব্যবহার করতে দেবে না তালিবান। তাই অন্য কোনও দেশ যেন তাদের ভয় না পায়। আরও জানান হয়েছে, আফগানিস্তানে থাকা সকল বিদেশি নাগরিকদের রক্ষা করবে তারা, কোনও বাইরের শক্তির দরকার নেই তাদের।