কাবুল: আফগানিস্তানের অধিকাংশ প্রদেশ দখল করে নিয়েছে তালিবান কিন্তু এখনও বেশ কয়েকটি প্রদেশ দখল করা বাকি। যদিও তারা দাবি করছিল যে দেশের প্রত্যেকটি প্রদেশ তাদের কব্জায় চলে এসেছে। তবে তালিবানের এই দাবি প্রথম থেকে এখনো প্রত্যাখ্যান করেছে পঞ্জশির। তারা পাল্টা দাবি করে বলেছে যে তালিবান তাদের প্রদেশ দখল করতে পারেনি। কিন্তু গতকাল রাতে এই প্রদেশ ‘দখলের’ উল্লাসে গুলিবৃষ্টি করেছে তালিবান! নিহত হয়েছে শিশু সহ একাধিক আফগান।
আরও পড়ুন- আফগানিস্তানে তালিবানকে ‘পথ দেখাক’ আন্তর্জাতিক দুনিয়া, আমেরিকাকে আর্জি চিনের
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, গতকাল রাতে কাবুলের বিভিন্ন জায়গায় গুলি চালিয়ে উল্লাস দেখায় তালিবান। দাবি করতে থাকে যে তারা পঞ্জশির দখল করে নিয়েছে। এই প্রেক্ষিতে গুলি চালিয়ে নিজেদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে তারা এবং তার জন্যই একাধিক আফগান গুলিবিদ্ধ হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় গতকাল রাতের বেশকিছু ভিডিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স করে অনেককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এই গুলি চালানো প্রসঙ্গে তালিবান কোনো মন্তব্য না করলেও তারা স্পষ্ট দাবি করেছে যে এখন গোটা আফগানিস্তান তাদের দখলে চলে এসেছে। যদিও তালিবানের এই দাবি সম্পূর্ণ নস্যাৎ করে দিয়েছে নর্দান অ্যালায়েন্স। তারা পাল্টা দাবি করছে, তারা নিজেদের জায়গা ছেড়ে পালায়নি এবং তালিবান যে দাবী করছে তা সম্পূর্ণ ভুল।
আরও পড়ুন- আফগান সীমান্তে জঙ্গি হামলা, ক্রমাগত বিস্ফোরণ! নিহত পাক-সেনা
প্রথম থেকেই তালিবানের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন আফগানিস্তানের প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি আমরুল্লাহ সালেহ ও তাঁদের দলবল। তিনিই দাবি করেছেন যে, ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে তালিবান, পাকিস্তানকে খুশি করতে এই কাজ করছে তারা। সূত্রের খবর, এখন আপাতত তাজিকিস্তানে পালিয়ে গিয়েছেন সালেহ। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি তালিবান স্পষ্ট করেছে যে, তাদের কাছে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী পাকিস্তান বা রাশিয়া নয়, চিন। এমনকি তাদের ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ কর্মসূচিকেও সমর্থন করবে তারা। এটা কারোর অজানা নয় যে, পাকিস্তান বরাবর তালিবানকে সমর্থন করে এসেছে এবং আফগানিস্তানের যুদ্ধে বরাবরই তারা মদত দিয়েছে তালিবানকে। কিন্তু এখন আফগানিস্তানের নতুন সরকার গঠন করার আগে তালিবান ‘পাশে দাঁড়াল না’ পাকিস্তানের।