মস্কো: ইক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ও গুরুত্বপূর্ণ শহর খারকিভের দখল নিতে স্রোতের মতো সড়ক পথে ঢুকছে রুশ সেনা৷ চলছে কিয়েভ আর খারকিভ দখলের লড়াই৷ ইতিমধ্যেই খেরসান শহরের দখল নিয়েছে রুশ বাহিনী৷ তবে কিয়েভ ও খারকিভ দখলে প্রবল প্রতিরোধের মুখে পড়তে হচ্ছে পুতিন বাহিনীকে৷ একই ভাবে দুই বন্দর শহর ওডেশা এবং মারিউপলও দখল নিতে পারেনি রুশ ফৌজ৷ স্থলপথে ওই দুই বন্দর শহরে ঢুকতে না পেরে জলপথে আক্রমণ হানার প্রস্তুতি সেরে ফেলল রাশিয়া।
আরও পড়ুন- ইউক্রেনের বিরুদ্ধে পুরদস্তুর বিমানবাহিনীর ব্যবহার করছে না রাশিয়া, পুতিনের সিদ্ধান্তে রহস্য
বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রশাসন সূত্রে খবর, রাশিয়ার সারি সারি যুদ্ধজাহাজ ক্রিমিয়া থেকে ওডেশার দিকে এগোতে শুরু করেছে। আজই ওই যুদ্ধজাহাজ থেকে দুই বন্দর শহরের উপর আঘাত হানতে পারে রুশ নৌসেনারা।
উল্লেখ্য, ইউক্রেনের তৃতীয় বৃহত্তম শহর ওডেশা।সেই সঙ্গে ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় বন্দর শহরও এটি। ইউক্রেনের অর্থনীতির অন্যতম মেরুদণ্ড ওডেশা দখলে মরিয়া মস্কো। অর্থনৈতিক দিক থেকে সোভিয়েত জমানাতেও এই বন্দর ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বৃহস্পতিবারই ইউক্রেনের অন্যতম বন্দর শহর খেরসানের দখল নিয়েছে রুশ বাহিনী। যে কোনও সময় ওডেশার দখল নিতে পারে পুতিন বাহিনী। এমনটাই আশঙ্কা৷ তহে রুশ হামলার জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছে বন্দর শহর। এমনটাই দাবি শহরের মেয়র গেনাডি ট্রুখানভের।
এদিকে, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ, খারকিভ সহ বিভিন্ন শহরের বুকে মুহুর্মুহু বোমাবর্ষণ, ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করলেও বিমানবাহিনীকে পুরোদস্তুর কেন কাজে লাগাচ্ছেন না ভ্লাদিমির পুতিন, তা নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে৷ অথচ দেখা যাচ্ছে রাশিয়াকে রুখতে পুরদস্তুর নিজেদের বিমানবাহিনীকে কাজে লাগাচ্ছে ইউক্রেন৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>