ইউক্রেনের বিরুদ্ধে পুরদস্তুর বিমানবাহিনীর ব্যবহার করছে না রাশিয়া, পুতিনের সিদ্ধান্তে রহস্য

ইউক্রেনের বিরুদ্ধে পুরদস্তুর বিমানবাহিনীর ব্যবহার করছে না রাশিয়া, পুতিনের সিদ্ধান্তে রহস্য

কিয়েভ: ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের আজ অষ্টম দিন৷ একের পর এক প্রতিরোধ ভেঙে স্থলপথে স্রোতের মতো ঢুকছে রুশ সেনা৷ কিন্তু ইউক্রেনের বিরুদ্ধে এখনও নিজেদের বিমানবাহিনীতে পুরোদস্তুর ব্যবহার করেনি রাশিয়া৷ কিন্তু কেন? ঘনাচ্ছে রহস্য৷ 

আরও পড়ুন- ভারতীয় পড়ুয়াদের ‘মানবঢাল’ বানাচ্ছে ইউক্রেন সেনা, রাশিয়ার দাবিতে উদ্বেগ, পাল্টা ইউক্রেনের

সামরিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাশিয়ার হাতে যে সামরিক শক্তি রয়েছে, তা ব্যবহার করলে মুহূর্তের মধ্যে ধ্বংস হয়ে যাবে ইউক্রেন৷ কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে সেই শক্তির সম্পূর্ণ ব্যবহার করছে না মস্কো৷ এখানেই রহস্য তৈরি হয়েছে রহস্য। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ, খারকিভ সহ বিভিন্ন শহরের বুকে মুহুর্মুহু বোমাবর্ষণ, ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করলেও বিমানবাহিনীকে পুরোদস্তুর কেন কাজে লাগাচ্ছেন না ভ্লাদিমির পুতিন? যেখানে দেখা যাচ্ছে রাশিয়াকে রুখতে পুরদস্তুর নিজেদের বিমানবাহিনীকে কাজে লাগাচ্ছে ইউক্রেন৷ 

রাশিয়ার এই সিদ্ধান্তের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল অশোক কুমার বলেন, রাশিয়া এখনও পর্যন্ত নিজের পূর্ণ সামরিক শক্তি ব্যবহার করেনি৷ এক্ষেত্রে রাশিয়া কিছুটা সময় নিচ্ছে। পুতিন চাইছেন, ইউক্রেনের শহর থেকে সাধারণ মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাক। তারা শহর খালি করে দিক। যাতে এই যুদ্ধে সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে হতাহতের সংখ্যা না বাড়ে৷ হামলার তেজ কমিয়ে ইউক্রেনবাসীদের আদতে সময় দিতে চাইছে মস্কো।

পাশাপাশি রুরোদস্তুর সামরিক শক্তি ব্যবহান না করার আরও একটি কারণ রয়েছে বলে মনে করছেন প্রাক্তন মেজর জেনারেল৷ তিনি বলেন, এই যুদ্ধে রাশিয়ারও কম ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে না। ইউক্রেনের পাল্টা আগাতে বহু সেনার মৃত্যু হচ্ছে। সেই দিকটাও মাথায় রাখতে হচ্ছে পুতিনকে। সেনা অভিযান চালাতে গিয়ে  বিপুল সংখ্যক সেনার মৃত্যু হলে নিজের ঘরেও জবাব দিতে হতে তাঁকে৷ এর জন্য ক্ষোভের মুখেও পড়তে পারেন পুতিন। সেটা তিনি চাইছেন না। তাই হামলার তীব্রতা কমিয়ে রণকৌশল বদলের চিন্তাভাবনা শুরু করে দিয়েছে ক্রেমলিন।

ইউক্রেনকে ‘শায়েস্তা’ করার পাশাপাশি সৈনিকদের নিরাপত্তার কথাও ভারতে হচ্ছে রাশিয়াকে। আর সে কারণেই কিয়েভ দখল করার উদ্দেশে রওনা দেওয়া ৬৪ কিলোমিটার দীর্ঘ কনভয়ের গতি যেন হঠাৎ করেই শ্লথ করে দেওয়া হয়েছে। কিয়েভ এবং খারকিভ দখলে করাতে গিয়ে যে ভাবে রুশ বাহিনীতে ইউক্রেন সেনার প্রতিরোধের মুখে পড়তে হচ্ছে, যে ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে, তা থেকে শিক্ষা নিয়েই ধীরে খেলার কৌশল গ্রহণ করেছে মস্কো৷ উল্লেখ্য, ইউক্রেনের দাবি, তাদের জবাবে ইতিমধ্যেই ৬ হাজার রুশ সেনার মৃত্যু হয়েছে৷