বেহাল অর্থনীতি! ‘বন্ধু’ চিনের কাছে এবার ঋণ মকুবের আর্জি পাকিস্তানের

বেহাল অর্থনীতি! ‘বন্ধু’ চিনের কাছে এবার ঋণ মকুবের আর্জি পাকিস্তানের

ইসলামাবাদ: ভারতের সঙ্গে বছরভর দ্বন্দ্ব লেগে থাকলেও, পাকিস্তানের সঙ্গে চিনের যে বিশেষ হৃদ্যতা রয়েছে তা অজানা নেই কারোরই। উত্তর ও পশ্চিমের এই দুই প্রতিবেশী দেশকে একসঙ্গে মিলে ভারত বিরোধিতায় সামিল হতেও দেখা গেছে। এবার এই ‘বন্ধু’ চিনের কাছেই ঋণ মকুবের আর্জি নিয়ে দাঁড়াতে চলেছে পাকিস্তান।

আরও পড়ুন- উহান থেকে ছড়ায়নি করোনা, নির্দোষ বাদুড়ও! দাবি WHO গবেষকদের

গত আট বছরে একাধিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিপুল ঋণ মকুবের জন্য বেজিংয়ের কাছে আবেদন করতে পারে পাকিস্তান, এদিন এমনটাই জানা গেছে বিশেষ সূত্রের খবরে। অবশ্য এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে অফিসিয়াল কথাবার্তা হয়নি। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে কথাবার্তা এগিয়েছে বলেই খবর সূত্র মারফত। জানা গেছে, প্রায় ডজনখানেক প্রকল্পের ঋণ পরিশোধ করতে এখন কার্যত হিমশিম খাচ্ছে ইমরান খান সরকার।

বস্তুত, পাকিস্তানে দীর্ঘদিন ধরেই একাধিক প্রকল্প গড়ে উঠেছে যার জন্য অর্থনৈতিক সহায়তা করে এসেছে বেজিং। মূলত সে দেশের বিদ্যুতের ঘাটতি মেটানোর জন্যেই এই উদ্যোগ নেওয়া হলেও বর্তমানে তার উৎপাদন হয়ে পড়েছে অতিরিক্ত। আর বাড়তি উৎপাদনের এই খরচ বহন করতেই সক্ষম নয় ইসলামাবাদ। চিনের আর্থিক সহায়তায় প্রকল্প গড়ে তোলার নজির শুধুমাত্র পাকিস্তানে নয়, রয়েছে শ্রীলঙ্কা মালয়েশিয়ার মতো দেশেও। বলা বাহুল্য সবক্ষেত্রেই ঋণের পাহাড় তৈরি হতে দেখা গেছে আর ছড়িয়েছে দুর্নীতির জাল।

আরও পড়ুন- আরও বড় মহামারীর মুখোমুখি হতে পারে বিশ্ব, আশঙ্কা বিল গেটসের

এ ব্যাপারে চিন বা পাকিস্তান কোনো দেশই মুখ খুলতে রাজি হয়নি। তবে বিভিন্ন দেশের আভ্যন্তরীণ উন্নয়নকল্পে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার এই চিনা উদ্যোগকে এর আগে সমালোচনায় বিদ্ধ করেছে আমেরিকা। তাঁদের দাবি ছিল, দেশগুলিকে বিপুল ঋণের দায়ে জড়িয়ে ফেলাই এর পিছনে বেজিংয়ের প্রকৃত উদ্দেশ্য। অতিমারী পরিস্থিতিতে উন্নয়নশীল দেশগুলি ঋণ পরিশোধ করতে হিমশিম খাবে চা জেনেই এই কাজে অগ্রসর হয় চিন। একে একপ্রকার ‘ঋণের ফাঁদ’ বলেও অভিহিত করে আমেরিকা। এই মুহূর্তে পাকিস্তান ছাড়াও আরো সাতটি দেশ চিনের ঋণ পরিশোধের দায়গ্রস্ত রয়েছে বলে জানা গেছে সূত্রের খবরে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *