কিয়েভ: এই যুদ্ধ যেন থামার নয়। ১০০ দিন পার হয়ে যাওয়ার পরেও লাগাতার ইউক্রেনে হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। ওদিকে আবার ইউক্রেন বাহিনীও ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নয়। তারাও যতটা পারছে রাশিয়ান বাহিনীকে রুখে দেওয়ার চেষ্টা করছে। মোদ্দা কথা, আরও যে বেশ কয়েক মাস এই যুদ্ধ জারি থাকবে তা পরিষ্কার। কিন্তু এই যুদ্ধের জন্য কী কী ক্ষতি হচ্ছে ইউক্রেনে তার তালিকা করা হয়তো কঠিন। মানুষের ঘর-বাড়ি শেষ হয়ে গিয়েছে, প্রাণ গিয়েছে কত তার হিসেব নেই। প্রচুর মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে দিন কাটাচ্ছে। এবার আশঙ্কা করা হচ্ছে, ইউক্রেন জুড়ে কলেরা মহামারি শুরু হতে পারে। মূলত মারিউপোলে দেখা যেতে পারে সংক্রমণ।
আরও পড়ুন- চিড়িয়াখানায় ওরাঙ্গুটানের কবলে পর্যটক! ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি, রক্তারক্তি কাণ্ড, ভাইরাল ভিডিয়ো
ইউক্রেনের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিটেনের গোয়েন্দা দফতর উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছে, কলেরায় সংক্রমিতের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে মারিউপোলে। খেরসন অঞ্চলেও আক্রান্তের সংখ্যা কিছু কম নয়। এদিকে কার্যত ভেঙে পড়েছে ইউক্রেনের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। তাই চিকিৎসা কী ভাবে হবে তা নিয়েও অন্য প্রশ্ন জেগেছে। সব মিলিয়ে ইউক্রেনবাসীর জন্য সময় যে আরও খারাপ হতে চলেছে তা এক কথায় বলা যায়। এর জন্য বিশেষজ্ঞরা একমাত্র রাশিয়ান হামলাকেই দায়ী করেছে। যুদ্ধের জেরে শুদ্ধ জল, পর্যাপ্ত খাবারের জোগান দেওয়াই মুশকিল হয়ে গিয়েছে। তাই আরও বাড়ছে হাহাকার। বড় আতঙ্কের বিষয় এই যে, এখনও পর্যন্ত ঠিক কতজন কলেরা আক্রান্ত হয়েছে সেই হিসেব মিলছে না। তাই সংক্রমণ কতটা ভয়ঙ্কর হয়েছে সেটাও জানা যাচ্ছে না।
গোয়েন্দা সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, কলেরা হয়েছে এমনটা স্পষ্ট না হলেও মারিউপোল শহরের বেশিরভাগ বাসিন্দাই নাকি এখন অসুস্থ। তাই রোগ যাই হোক তা ছড়িয়ে পড়তে যে বেশি সময় লাগবে না সেটাও দাবি করা হচ্ছে। কারণ এখনও সেখানে পানীয় জল সরবরাহ ঠিকভাবে হচ্ছে না, নিকাশীও ঠিক নেই। পাশাপাশি টেলিফোন এবং ইন্টারনেট পরিষেবারও বেহাল দশা। তাই এমারজেন্সি কিছু হলে বাইরের সাহায্য পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ।