কাঠমাণ্ডু: স্থানীয় সময় রবিবার সকাল ১০টা ৩৩ মিনিট৷ ত্রিভুবন বিমানবন্দর থেকে পাঁচ ভারতীয়, ৫৩ জন নেপালি, এক জন আয়ারল্যান্ডের বাসিন্দা, দু’জন কোরীয়, এক জন আর্জেন্টিনীয় এবং এক জন ফরাসি যাত্রী নিয়ে উড়ান দেয় এটিআর-৭২ বিমানটি। কিন্তু যাত্রা পূর্ণ হয়নি তাঁর৷ পোখরা বিমানবন্দরে নামর আগেই নেপালের ইয়েতি এয়ারলাইন্সের যাত্রিবাহী বিমান এটিআর-৭২ সেতি গন্ডকি নদীর ধারের জঙ্গলের উপর ভেঙে পড়ে। মূলত যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই এই দুর্ঘটনা বলে জানানো হয়ছে। এখনও পর্যন্ত সবকটি দেহ উদ্ধার করা না গেলেও বিমানে থাকা সকলেরই মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নেপালের সেনাবাহিনীর তরফে সোমবার জানানো হয়, অকুস্থল থেকে এখনও জীবিত অবস্থায় কাউকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এখনও পর্যন্ত যে ক’জনকে উদ্ধার করা হয়েছে, তাঁরা সকলেই মৃত।
আরও পড়ুন- অক্সিজেন সাপোর্টে সুস্মিতার ‘বিশেষ বন্ধু’, কী হয়েছে ললিতের
৭২ জন যাত্রীকে নিয়ে উড়ান দেওয়া এটিআর-৭২ পোখরা বিমানবন্দরে অবতরণের ঠিক আগে ভেঙে পড়ে৷ মাটি ছোঁয়ার মাত্র কয়েক সেকেন্ড আগে দুর্ঘটনাটি ঘটে৷ এখনও পর্যন্ত ঘটনাস্থল থেকে ৬৮টি মৃতদেহ উদ্ধার করা গিয়েছে। উদ্ধারকাজ চলার মাঝেই সোমবার নেপাল সেনা জানিয়ে দিল, উদ্ধারকাজ চলার সময় এমন কাউকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি যিনি বেঁচে আছেন৷ এই ঘটনাকে বলা হচ্ছে নেপালের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ বিপর্যয়। দুর্ভাগ্যবশত ওই বিমানের ৭২ জন যাত্রীর মধ্যে ছিলেন পাঁচ ভারতীয় নাগরিক। তাঁরা সকলেরই দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন। নিহতরা হলেন, সোনু জয়সওয়াল (৩৫), অভিষেক কুশওয়াহা (২৫), বিশাল শর্মা (২২), অনিল কুমার রাজভর (২৭) এবং সঞ্জয় জয়সওয়াল।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>