বেজিং: ২০২২ সালের শেষের দিক থেকে চিনে আবার ভয়ঙ্করভাবে বাড়তে শুরু করেছে করোনা। সংক্রমণ কম হওয়ার লক্ষণ এখনও দেখা যায়নি উলটে পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে সেদেশে। স্থানীয় একাধিক সংবাদমাধ্যমের দাবি, চিনের শহরের থেকে গ্রামাঞ্চলের অবস্থা আরও বেশি খারাপ। সেখানে অনেকে চিকিৎসা না পেয়ে মারা যাচ্ছেন। অনেক হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিষেবা দেওয়ায় সরঞ্জাম নেই। ফলে পরপর বন্ধ হয়ে যাচ্ছে হাসপাতালগুলি। অনেক বয়স্ক মানুষ আবার কোভিডের আতঙ্কেই আত্মহত্যা করে নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন- হাসপাতালে কোভিড রোগীদের ভিড়, চিনে ছুটি বাতিল বহু কর্মীর
কয়েক মাস পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকার পর হঠাৎ করেই কোভিড বাড়তে শুরু করে চিনে। এখন জানা গিয়েছে, রীতিমত করোনা সংক্রমণে ধুঁকছে দেশের গ্রামীণ এলাকা। ন্যূনতম চিকিৎসা পরিষেবার জন্যও হাহাকার মানুষের। অনেকে কোনও পরিষেবা না পেয়ে মারা যাচ্ছেন। কেউ কেউ শুধুমাত্র সংক্রমণের ভয়ে আত্মহত্যা পর্যন্ত করছেন। এক্ষেত্রে বৃদ্ধ মানুষদের সংখ্যাই অধিকাংশ। জানা গিয়েছে, ওষুধ এবং চিকিৎসার অন্যান্য সরঞ্জামের চরম অভাব দেখা দিয়েছে হাসপাতালগুলিতে। ফলে একে একে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে চিকিৎসা পরিষেবা। যদিও এই অবস্থায় চিনের কোভিড সংক্রমণের সংখ্যা কত তা জানা মুশকিল। কারণ কোভিডের দৈনিক পরিসংখ্যান প্রকাশ করা বন্ধ করে দিয়েছে বেজিং সরকার।
ইতিমধ্যেই ভারত সহ একাধিক দেশ চিনা পর্যটকদের নিজেদের দেশে প্রবেশে বিধিনিষেধ জারি করেছে। স্পষ্ট বলা হয়েছে, চিনা নাগরিকদের ঢুকতে গেলে মানতে হবে কোভিড বিধি। কোনও দেশ বলেছে নেগেটিভ আরটিপিসিআর বাধ্যতামূলক, কোনও দেশ বলেছে করোনা পরীক্ষা করতে হবে। নেগেটিভ হলেই প্রবেশ করতে পারবে চিনারা।