বেজিং: চিনের করোনা পরিস্থিতি কোনও ভাবেই ইতিবাচক দিকে মোড় নিচ্ছে না। নতুন বছরের শুরু থেকে আতঙ্ক যেন আরও বাড়ছে। সংক্রমণ কমার কোনও লক্ষণ নেই, এদিকে হাসপাতালগুলিতে রীতিমতো রোগীর ভিড় বাড়ছে বলে জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই দেশের একাধিক হাসপাতালে কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। কোনও ছুটি না নিয়ে দিন-রাত এক করে টানা কাজ করতে হচ্ছে হাসপাতালের কর্মীদের। কিন্তু তাতেও কতটা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে তাতে সন্দেহ।
আরও পড়ুন- ৮-১০ ফুট পুরু বরফের আস্তরণ রাস্তায়! ‘বম্ব সাইক্লোন’ প্রাণ কাড়ল বহু মানুষের
বিশেষজ্ঞদের এমনিতেই অনুমান, চরিত্র বদলে আগের থেকেও বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠেছে ওমিক্রনের নয়া রূপ BF.7। তার জন্যই চিনে প্রতিদিন প্রায় কয়েক লক্ষ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে জানা গেল, চিনের ৬টি প্রদেশের হাসপাতালগুলিতে কর্মীদের ছুটি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত যে কেউ ছুটি পাবেন না তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এরই মাঝে অবশ্য মৃত্যু নিয়ে বড় তথ্য সামনে এসেছে। ব্রিটেনের হেলথ অ্যানালিটিকস সংস্থা ‘এয়ারফিনিটি’ দাবি করেছে, বর্তমানে চিনো করোনায় আক্রান্ত হয়ে দৈনিক ৯ হাজারের বেশি মানুষ মারা যাচ্ছেন। যদিও চিনের বিরুদ্ধে কোভিড তথ্য গোপন করার বড় অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রশ্নের মুখে পড়েছে জিংপিং সরকার।
চিনা আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করে তাদের থেকে ‘আসল’ তথ্য জানতে চেয়েছে ‘হু’। বলা হয়েছে, একমাত্র সঠিক তথ্য পেলেই অন্য দেশগুলিও কোভিড মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে পারবে। তাই চিন যাতে কোনও ভাবে করোনা তথ্য না লুকিয়ে চলে সেই আর্জি জানান হয়েছে। ইতিমধ্যে চিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোভিড বিধি প্রত্যাহার করার। কিন্তু চিনের নাগরিকদের নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। চিন সহ ৬ দেশের জন্য RT-PCR বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।