আধাসেনার হাতে অপহরণ পুলিশ প্রধান, তবে কি ‘গৃহযুদ্ধে’র পথে পাকিস্তান?

আধাসেনার হাতে অপহরণ পুলিশ প্রধান, তবে কি ‘গৃহযুদ্ধে’র পথে পাকিস্তান?

ইসলামাবাদ: রাজনৈতিক চাপানউতোরের মাঝেই এবার ‘গৃহযুদ্ধে’র পরিস্থিতি তৈরি হল পরশি পাকিস্তানে৷ পুলিশ বনাম পাক সেনার লড়াইয়ে উত্তাল করাচি৷ পাক রেঞ্জার্স সিন্ধ পুলিশ প্রধানকে অপহরণ করে বলেও জোড় গুজব৷  ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন পাক সেনা প্রধান জেনারেল কোয়ামার জাভেদ বাজওয়া৷ পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের জামাতা সফদর আওয়ানকে গ্রেফতারের জন্য করাচি পুলিশের উপর চাপ সৃষ্টি করতেই পুলিশ প্রধানকে অপহরণ করা হয়েছে বলে কানাঘুষো৷  

আরও পড়ুন- মাদ্রাসার শিশুদের বেঁধে রাখা হয় শেকল দিয়ে! অত্যাচারের নির্মম ছবি প্রকাশ্যে

পাক সেনার তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, করাচির সেনা কম্যান্ডার ঘটনার তদন্ত করবেন৷ এদিকে পুলিশ প্রধানের এই অসম্মানের প্রতিবাদে সিন্ধ পুলিশের বিভিন্ন পদাধিকারীরা গণছুটির আবেদন করেছেন৷ ইতিমধ্যেই এই ঘটনার পরে করাচির বিভিন্ন জায়গায় সংঘর্ষ বেধে গিয়েছে বলে খবর৷ করাচির একটি বহুতলে আইইডি ব্লাস্ট হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে৷ দ্য ইন্টারন্যাশনাল হেরাল্ড টুইট করে জানিয়েছে,  করাচিতে সিন্ধ প্রদেশ পুলিশ এবং পাকিস্তানি সেনার মধ্যে গুলি বিনিময়ের পর করাচিতে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছে৷ এই সংঘর্ষে দশ জন পুলিশ অফিসারের মৃত্যু হয়েছে বলেও তাদের দাবি৷ যদিও পাকিস্তানের শীর্ষ স্থানীয় সংবাদপত্র ডন-এ এই এ সম্পর্কে কোনও খবর প্রকাশিত হয়নি৷ পাক সেনাবাহিনীর মিডিয়া শাখা এক বিবৃতিতে বলেছে, সেনা প্রধান বাজওয়া করাচি কোর কমান্ডারকে “তাত্ক্ষণিক পরিস্থিতি সম্পর্কে তদন্ত করে” যত শীঘ্র সম্ভব রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন৷ 

আরও পড়ুন- দুর্গা রূপে কমলা হ্যারিস, ট্রাম্প মহিষাসুর! ছবি দেখে ক্ষুব্ধ আমেরিকান হিন্দুরা

কী পরিস্থিতিতে সফদরকে গ্রেফতার করা হল, তা জানার জন্য তদন্তের দাবি জানিয়েছেন পিপিপি নেতা বিলাওয়াল ভুট্টো৷ গত সপ্তাহেই পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং পাক প্রশাসনের ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে একটি মিছিল করেছিল পাকিস্তানের বিরোধী দলগুলি৷ ইমরান খানের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছিলেন নওয়াজ কন্যা মরিয়ম৷ এর পরই সোমবার করাচির হোটেলের দরজা ভেঙে গ্রেফতার করা হয় তাঁর স্বামী অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন সফদরকে৷ পরে অবশ্য জামিনে মুক্তি পান তিনি৷ 

সিন্ধ পুলিশের অভিযোগ, প্রথমে সফদরকে গ্রেফতার করতে চায়নি পুলিশ৷ কিন্তু সিন্ধ পুলিশের আইজি মুস্তাক মেহরকে অপহরণ করে নিয়ে যায় পাক রেঞ্জার্স৷ তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাঁকে দিয়ে জোর করে সফদরের গ্রেফতারির নির্দেশে সই করিয়ে নেওয়া হয়৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ten + nineteen =