সুদান: মাদ্রাসায় শিশুদের উপর চরম অত্যাচার করা হয় বলে অনুমান করা হয়েছিল। সুদানের সেইসব মাদ্রাসার করুন ছবি ধরা পড়ল ক্যামেরায়। সঙ্গে সঙ্গে উঠে গেল সেইসব মাদ্রাসার নির্মম অত্যাচারের চিত্র। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির আরবী নিউজের এক অনুসন্ধানী রিপোর্টে প্রকাশ পেয়েছে, সুদানের ইসলামী স্কুলগুলোয় শিশুদের পায়ে শেকল বেঁধে নিয়মিত নির্যাতন এবং নিপীড়ন করা হয়। এক কথায়, সুদানের বিভিন্ন মাদ্রাসায় দীর্ঘদিন ধরে অত্যাচারিত হচ্ছে অধিকাংশ শিশুরা।
জানা গিয়েছে, পাঁচ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের তো বটেই, তার থেকে কম বয়সী শিশুদের ও পায়ে শেকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয় ওইসব মাদ্রাসায়। খালওয়া নামের এক মাদ্রাসার স্কুলের শিক্ষকরা যারা শেখ নামে পরিচিত, তারা মূলত শিশুদের উপরে এমন নির্যাতন করেন। তারাই এই সমস্ত স্কুলের পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন। গোপন ক্যামেরা বসিয়ে এই ধরনের কমপক্ষে ২৩টি মাদ্রাসার স্কুলের ছবি তুলে ধরেছে বিবিসি। যেখানে দেখা গিয়েছে শিশুদের মারধর এমনকি যৌন হেনস্থা করা হচ্ছে। সুদানে এইরকম কমপক্ষে ৩০ হাজার মাদ্রাসা রয়েছে!
জানা গিয়েছে, এই সমস্ত মাদ্রাসার শেখরা মূলত বিনামূল্যে খাবার এবং আশ্রয় দিয়ে থাকেন শিশুদের। সেই কারণেই গরিব পরিবারের শিশুদের এই সমস্ত মাদ্রাসায় পাঠানো হয়। কিন্তু মাদ্রাসার ভিতরে ছবি সম্পূর্ণ অন্যরকম। ছোট ছোট শিশুদের পায়ে শেকল দিয়ে বেঁধে রেখে চলে নির্মম অত্যাচার, যৌন হেনস্থা পর্যন্ত করা হয় কোনো রকম বাধা ছাড়াই। এমনকি এই সব শিশুদের জোর করে কোরান মুখস্থ করানো হয় বলে জানা গিয়েছে। আবার শাস্তি স্বরূপ, অনেক শিশুদের না খেতে দিয়ে রাখা হয়। অনেক সময় শিশুরা প্রায় সপ্তাহ খানেক খাবার এবং জল না পেয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। শুধু তাই নয়, অভুক্ত রেখে প্রচণ্ড মারধর করা হয় তাদের। প্রসঙ্গত, সুদানের ৭০ শতাংশ জনগণ ইসলাম ধর্মাবলম্বী। ২৫ শতাংশ আদিবাসী এবং মাত্র ৫ শতাংশ খ্রিস্টান।