কলকাতা: প্রেমের মায়াবী জালে ‘বন্দি’ তারা৷ কেউ অন্ধকার জগতের কুখ্যাত ডন৷ কেউ আবার মাদক ব্যবসার বাদশা৷ কিন্তু, প্রেমের ফাঁদে পা দিয়েই হল ‘সর্বনাশ’৷ যাঁর প্রেমের নেশায় বুঁদ হয়ে ঘটল বিপত্তি, তিনি আর কেউ নন, এক লাস্যময়ী পুলিশ অফিসার৷ প্রেমের ফাঁদ পেতে অপরাধীদের ধরতে তিনি সিদ্ধহস্ত৷ ইতিমধ্যেই বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দরী মহিলা পুলিশের শিরোপা পেয়েছেন তিনি৷
আরও পড়ুন- খেরসনের দখল নিল ইউক্রেনীয় বাহিনী, সেনাকে জড়িয়ে-নিজস্বী, উচ্ছ্বাসে মাতোয়ারা শহরবাসী
কেবল বুদ্ধিতে বাজিমাত নয়, তাঁর অন্যতম অস্ত্র হল রূপ৷ সেই অস্ত্রে ঘায়েল হয়েছেন না জানি কত অপরাধী৷ একের পর এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন পুলিশ মহলে। বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দরী মহিলা পুলিশের শিরোপা আপাতত তাঁর শিয়রেই। এই সুন্দরী মহিলার প্রেমেই কুপোকাত হয়েছেন বহু মাফিয়া ডন, চোরাচালানকারী, হত্যাকারীরা। বর্তমানে মাদক বিরোধী প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন দক্ষিণ আমেরিকার এই মহিলা পুলিশ অফিসার। সেখানেও অস্ত্র তাঁর রূপযৌবন৷ ডায়নার শর্ত, মাদক ছাড়লেই মিলবে তাঁর সঙ্গে ডেট করার সুযোগ৷ এহেন সুন্দরীর কাছ থেকে এমন প্রস্তাব পেয়ে দারুণ ভাবে উচ্ছ্বসিত তরুণরা৷ তাঁদের মধ্যে ব্যাপক পড়েছে৷
ছোট থেকেই তিনি রূপসী৷ এই সৌন্দর্যকেই নিজের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার করে তোলেন ডায়না র্যামিরেজ। কলম্বিয়ার মেডেলিন শহরের এই লাস্যময়ী পুলিশ অফিসারের প্রেমে পাগল তাবড় তাবড় অপরাধীরা। প্রেমের দুর্বার আকর্ষণেই তাঁদের গোপন ডেরা থেকে বার করে আনার কৌশল নিয়েছেন ডায়না। একজন তদন্তকারী হিসেবে এটাই তাঁর সাফল্যের অন্যতম চাবিকাঠি৷ একটা মিশনে সফল হওয়ার পরই তিনি নেমে পড়েন পরবর্তী শিকার ধরতে৷ নতুন করে বোনেন ভালোবাসার জাল৷ কিন্তু, জানেন কি অপরাধী ধরতে কেন এই পদ্ধতিকে হাতিয়ার করেছেন তিনি?
আসলে ডায়নার সৌন্দর্যের প্রতি দুর্বার আকর্ষণ অনেকেরই৷ তাঁর ভরা যৌবনের হাতছানিতে বরাবারই আকৃষ্ট পুরুষ মহল। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা তাঁর একের পর এক ছবিতে স্পষ্ট শরীরী আবেদন। নেট পাড়ায় ডায়নার অনুরাগীর সংখ্যাও আকাশ ছোঁয়া। বর্তমানে ৪ লক্ষেরও বেশি অনুগামী রয়েছে তাঁর। তবে কোনও দিনই মডেলিং বা অভিনয়ের কথা তিনি ভাবেননি। বরং পুলিশের চাকরি নিয়ে সমাজকে অপরাধ মুক্ত করাই ছিল তাঁর স্বপ্ন৷। তবে, পুলিশে যোগ দিলেও নিয়মিত সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের ছবি শেয়ার করতেন তিনি। একদিন তাঁর ফলোয়ারদের মধ্যে এমন একজনের নাম খুঁজে পান, যিনি পুলিশের খাতায় ‘ওয়ান্টেড’। নিজের পরিচয় গোপন রেখেই তার সঙ্গে ভাব জমান ডায়না। এর পর ডেটে যাওয়ার প্রস্তাব দেন৷ আর এই কৌশলেই ওই অপরাধীকে তুলে দেন পুলিশের হাতে। এই ঘটনার পর থেকেই তিনি রূপকে অস্ত্র বানান।
এক মাফিয়া ডনকে গ্রেফতার করে বিশেষ গ্যালান্ট্রি মেডেল পান ডায়না র্যামিরেজ। কিন্তু, শেষ অভিযানে তাঁর পরিচয় প্রকাশ হয়ে যাওয়ায় কিছুটা বেকায়দায় পড়তে হয়েছে তাঁকে৷ পুরনো কায়দায় অপরাধীদের ফাঁসানো কঠিন হবে ভেবেই এবার প্রেমের নতুন পথ খুঁজছেন এই পুলিশ কর্মী৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>