নিউইয়র্ক: ৪-জি (4G) জমানাকে পিছনে ফেলে আজ, বুধবার থেকে আমেরিকায় শুরু হচ্ছে ৫-জি (5G) পরিষেবা৷ কিন্তু এতে অশনি সঙ্কেত দেখছেন অনেকেই৷ ফাইভ-জি পরিষেবা চালু হলে বিমান উড়ানে সমস্যা হবে বলে ইতিমধ্যেই হুঁশিয়ারি দিয়েছে মার্কিন যাত্রীবাহী ও কার্গো বিমান সংস্থাগুলি৷ সমস্যা মোকাবিলায় এই বিষয়ে যাতে এফএএ তথা দেশের বিমান পরিষেবা দফতর জরুরি হস্তক্ষেপ করে, সেই আর্জি জানানো হয়েছে৷ প্রসঙ্গত, একই আপত্তি তুলেছেন ভারতের বিমান চালকেরাও৷
আরও পড়ুন- জোড়া ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল আফগানিস্তান, মৃত কমপক্ষে ২৬
কোন সমস্যার কথা উল্লেখ করেছে মার্কিন উড়ান সংস্থাগুলি? আমেরিকান এয়ারলাইন্স, ডেল্টা এয়ারলাইন্স, জেট ব্লু এয়ারওয়েজ, আলাস্কা এয়ার, ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স, সাউথইস্ট এয়ারলাইন্স, ফেডএক্স এক্সপ্রেস সহ প্রথম সারির প্রায় সব কটি উড়ান সংস্থা নিয়ে তৈরি ‘এয়ারলাইন্স অফ আমেরিকা’র তরফে মার্কিন প্রশাসনকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে৷ ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘‘১৯ জানুয়ারি থেকে দেশের সর্বত্র জরুরি ভিত্তিতে ৫জি পরিষেবা চালু করা হোক৷ এতে আমাদের কোনও আপত্তি নেই৷ শুধু অনুরোধ, বিমানবন্দরের রানওয়ের থেকে মোটামুটি ২ মাইল (৩.২ কিমি) এলাকা বাদ রেখে পরিষেবা আনা হোক। কেননা ৫জি পরিষেবার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে উড়ান শিল্প, পর্যটন, সরবরবার চেইন, টিকা বণ্টন ও আমীদের বৃহত্তর অর্থনীতির।’’
প্রসঙ্গত, এর আগে যদিও মার্কিন প্রশাসনের তরফে নিতশ্চিত করা হয়েছিল যে প্রয়োজনমতো দেশের ৫০টি বিমানবন্দরে বাফার জোন তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু উড়ান সংস্থাগুলি নিশ্চিত হতে পারছে না, সত্যিই তা কতটা কার্যকর করা হয়েছে। তাই ক্রমশই বাড়ছে উদ্বেগ।
বিমানের উড়ানের পথে ৫জি পরিষেবা কতখানি বাধা দিতে পারে তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে ভারতেও৷ গত ৪ জানুয়ারি ভারতীয় বিমানচালকদের সংগঠন ‘ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান পাইলটস’-এর তরফেও কেন্দ্রীয় বিমানমন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে৷ সংগঠনের সভাপতি সুরিন্দর মেহতা সেখানে বলেছেন, ট্রাই এবং ডিজিসিএ মিলিত ভাবে পরিকল্পনা করার পরেই যেন দেশে সি ব্যান্ড ৫জি মোবাইল পরিষেবা চালু করা হয়। বিমান সুরক্ষা প্রণালীর সঙ্গে জড়িত রেডিয়ো অল্টিমিটারের সঙ্গে ৫জি সিগন্যাল ইন্টারফেয়ারেন্সের সম্পর্ক বোঝা এবং সেই অনুযায়ী তা কম রাখার পক্ষেই সওয়াল করা হয়েছে ‘ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান পাইলটস-এর চিঠিতে।