আলাস্কা: কিছুতেই যেন ফুরচ্ছে না আতঙ্কের রাত৷ গত ৬ ফেব্রুয়ারি এক ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পে তছনছ হয়ে গিয়েছে তুরস্ক৷ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সিরিয়ার একটা বড় অংশ৷ রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৭.৮৷ এর পর কয়েক হাজার আফটার শক হয়েছে৷ যা তুরস্ককে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে৷ এখনও পর্যন্ত এই বিপর্যয়ে মৃতের সংখ্যা ৪৭ হাজার৷ বাড়িঘর আর বিশেষ অবশিষ্ট নেই বললেই চলে। এখনও চলছে উদ্ধারকাজ। খোঁজ চলছে প্রাণের৷ এখনও ধ্বংসস্তূপের আড়াল থেকে মাঝেমধ্যেই মিলছে প্রাণের স্পন্দন৷ তুরস্কের মানুষ ভেবেছিলেন এবার হয়তো কাটল কালো রাত৷ কিন্তু এখনও স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে বাকি৷ আবারও ফিরল সেই অভিশপ্ত সোমবার৷ আবারও কাঁপল তুরস্কের মাটি৷ ফিরল চেনা আতঙ্ক। থরথর করে কেঁপে উঠল ঘরবাড়ি৷ কিছু ভেঙে পড়ল হুড়মুড়িয়ে৷ ফাটল ধরল মাটিতে। শক্তিশালী ভূমিকম্প আরও একবার যেন বলে গেল বিপদ এখনও কাটেনি।
আরও পড়ুন- যুদ্ধ কি থামবে? ঝটিকা সফরে ইউক্রেন গেলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট
সোমবার সন্ধ্যায় ফের কেঁপে ওঠে তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্ত। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৪। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল দক্ষিণ তুরস্কের আন্তাকিয়া শহরে। সিরিয়া, মিশর এবং লেবাননেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। ইউরোপীয় ভূমধ্যসাগরীয় ভূতত্ত্ব কেন্দ্র জানিয়েছে, মাটি থেকে ১০ কিলোমিটার (৬.২ মাইল) গভীরে ছিল ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল৷
গতকাল সন্ধেয় যখন আচমকা কাঁপুনি শুরু হল, তখন ফের ছ্যাঁৎ করে ওঠে শরণার্থী শিবিরগুলিতে ঠাঁই নেওয়া মানুষগুলোর বুক৷ সকলেই ছুটে বাইরে বেরিয়ে আসেন। সন্তান কোলে শুরু হয়ে যায় দৌড়োদৌড়ি৷ এর ঠির এক ঘণ্টাখানের মধ্যে ফের একবার কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে লেই কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৮।
হাতায়ের মেয়র লুৎফু সাভাস জানিয়েছেন, নতুন করে ভূমিকম্পের জেরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে৷ ধ্বংসস্তূপের নীচে এখনও অনেকে আটকে রয়েছেন। সোমবার নতুন করে তিন জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। আহতের সংখ্যা ৬০০-র বেশি।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>