নিউ ইয়র্ক: করোনার দাপটে জেরবার গোটা বিশ্ব৷ এরই মধ্যে আশঙ্কার কথা শোনালেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রস অ্যাডানম গেব্রিয়াসুস। আরও এক অতিমারির জন্য গোটা বিশ্বকে প্রস্তুত থাকতে বললেন তিনি৷ তাঁর পরামর্শ আসন্ন অতিমারির জন্য এখন থেকেই তৈরি থাকতে হবে৷
সোমবার জেনেভায় এক সাংবাদিক বৈঠকে গেব্রিয়াসুস বলেন, এখন থেকেই দেশগুলিকে জনস্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করতে হবে৷ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বিশ্বের ২৭.১৯ মিলিয়ন মানুষ৷ মৃত্যু হয়েছে ৮,৮৮,৩২৬ জনের। এর মধ্যেই আসন্ন অতিমারির অশনি সংকেত দিল হু৷ টেড্রস অ্যাডানম গেব্রিয়াসুস বলেন, ‘‘এটাই বিশ্বের শেষ প্যান্ডামিক নয়৷ ইতিহাস আমাদের শিখিয়েছে যে সংক্রমণ এবং অতিমারী আমাদের জীবনের অঙ্গ। আসন্ন প্যান্ডেমিকের জন্য আমাদের আরও বেশি করে প্রস্তুত থাকতে হবে৷’’
আরও পড়ুন- সাধারণ মানুষ এবার নিতে পারবে করোনার টিকা, সৌজন্যে রাশিয়া
হু প্রধান বলেন, করোনা আমাদের বড় শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছে৷ এর থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামীর জন্য জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করতে হবে৷ এখন থেকেই গণস্বাস্থ্যে আরও বেশি করে বিনিয়োগ করা জরুরি বলে জানান তিনি। যাতে আরও ভালোভাবে পরবর্তী অতিমারির মোকাবিলা করা সম্ভব হয়৷ সারা বিশ্বে করোনায় মৃত্যুর হার কিছুটা কমলেও, আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে৷ একদিনে সর্বাধিক সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে ভারত৷ মোট আক্রান্তের দিক ব্রাজিলকে পিছনে ফেলে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে দেশ৷
আরও পড়ুন- রাজ পরিবারের সদস্যদের পোশাক আসলে গোপন বার্তার বাহক! জেনে নিন খুঁটিনাটি
কয়েক দিন আগে হু-র মুখপাত্র মার্গারেট হ্যারিস জানিয়েছিলেন, ২০২১-এর মাঝামাঝির আগে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক ব্যাপক হারে বাজারে আসার সম্ভাবনা প্রায় নেই৷ তিনি বলেন, “যে সকল প্রতিষেধকগুলির এখনও পর্যন্ত ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হয়েছে কোভিড ১৯ মোকাবিলায় তা কতখানি কার্যকরী, সে বিষয়ে কোনও সংস্থাই স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয়নি।” তাই চূড়ান্ত ভাবে বাজারে আসার আগে সেই সব প্রতিষেধকের কার্যকারিতা এবং সেগুলি কতটা নিরাপদ তা আরও ভাল ভাবে খতিয়ে দেখা প্রয়োজন৷