মস্কো: গত বছরের শেষের দিক থেকেই চিনের উপর প্রভাব ফেলতে শুরু করেছিল প্রাণঘাতী ভাইরাস করোনা। এ বছরের গোড়ার দিক থেকে বিশ্বব্যাপী ক্রমশ এই ভাইরাস তার জাল বিস্তার করতে শুরু করে। আর তখন থেকেই করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কারের জন্য উঠেপড়ে লাগেন বিজ্ঞানীরা। ভ্যাকসিন আবিস্কারের এই দৌড়ে এগিয়ে ছিল রাশিয়া। এবার তাদের তৈরি ভ্যাকসিন সাধারণ মানুষের ব্যবহারের জন্য বাজারে ছেড়ে দেওয়া হল।
রাশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে এই খবর সম্প্রতি জানানো হয়েছে। কিছুদিন আগে প্রথম করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কারকারী দেশ হিসেবে নিজেদের নাম লিপিবদ্ধ করে রাশিয়া। যদিও ওই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীমহলে উঠছে প্রশ্ন। অনেকেই দাবি তুলেছেন ওই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল' সম্পূর্ণ হয়নি। দুটি ট্রায়ালের পরই রাশিয়ার করোনা ভ্যাকসিন স্পুটনিক ফাইভ জনসাধারণের জন্য বাজারে ছেড়ে দেওয়া হয়। অথচ তৃতীয় দফার ট্রায়াল রানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু রাশিয়ার স্পুটনিক ফাইভের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের কোন উল্লেখ করা হয়নি। এই ভ্যাকসিনের উপর সন্দেহ প্রকাশ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও। তবে রাশিয়ার তরফে এই নিয়ে কোন মাথা ব্যথার কারণ দেখা দেয়নি। রাষ্ট্রপতি পুতিনের মেয়েকে ইতিমধ্যে করোনার ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছিল। তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন। তাই এবার জনসাধারণের জন্য সেই ভ্যাকসিন বাজারে ছেড়ে দিল রাশিয়া।
আরও পড়ুন: রাজ পরিবারের সদস্যদের পোশাক আসলে গোপন বার্তার বাহক! জেনে নিন খুঁটিনাটি
দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ও RDIF (রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেসমেন্ট ফান্ড)-এর সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভ্যাকসিন তৈরি করেছে গামালিয়া সাইন্টিফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট অফ এপিডেমিওলজি এন্ড মাইক্রোবায়োলজি। প্রসঙ্গত রাশিয়া আগেই জানিয়েছিল এই ভ্যাকসিনের গুণগত মান পরীক্ষা করার পরই তা বাজারে আনা হবে। সাধারণ মানুষ তা ব্যবহার করতে পারবেন। এরপর শুক্রবার 'দ্য ল্যানসেট' জার্নাল এই প্রতিষেধকের প্রাথমিক ট্রায়ালের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনা হয়। সেখানে জানানো হয় করোনার এই ভ্যাকসিনের প্রাথমিক পর্যায়ের ট্রায়ালে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে পেরেছে। এই রিপোর্ট প্রকাশের পাঁচ দিনের মধ্যেই বাজারে ভ্যাকসিন নিয়ে এল রাশিয়া।