ওয়াশিংটন: মার্কিন মুলুকের নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন জো বাইডেন। সম্প্রতি তাঁর সঙ্গে কথা বলে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককেই চিহ্নিত করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং ফার্স্ট লেডিকে ভারতে আসার জন্য আমন্ত্রণও জানানো হয়েছে। এই সৌহার্দের আবহেই এবার ভারত-চিন সীমান্তে বেজিংয়ের সক্রিয়তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল আমেরিকা।
আরও পড়ুন- বেহাল অর্থনীতি! ‘বন্ধু’ চিনের কাছে এবার ঋণ মকুবের আর্জি পাকিস্তানের
চিনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘর্ষে আমেরিকাকে পাশেই পেয়েছে ভারত। শুধু তাই নয়, প্রতিবেশী দেশের সীমান্তে গোলযোগ সৃষ্টি করার চিনা প্রয়াসের সমালোচনাও করেছে নয়া মার্কিন প্রশাসন। বাইডেন সরকার ভারতের উত্তরের লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলে (LAC) অবিলম্বে শান্তি স্থাপনের আর্জি জানিয়েছে।
এদিন আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র নেড প্রাইস জানিয়েছেন, “আমরা পরিস্থিতির উপর কাছ থেকে নজর রাখছি। আমরা জানি ভারত এবং চিন সরকারের মধ্যেকার কথোপকথন জেনেছি। আমরা এই সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের আর্জি জানাচ্ছি।” এখানেই শেষ নয়, এরপর সীমান্তে গোলমাল করার চিনের বিশেষ কৌশলকেও সমালোচনায় বিদ্ধ করেছেন মার্কিন সরকারের মুখপাত্র। বেজিংয়ের এই নীতি নিয়ে তাঁর উদ্বিগ্ন বলেও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, “সবসময়ের মতোই আমরা বন্ধুর পাশে থাকবো, পার্টনারের পাশে থাকবো, জোটের সঙ্গে থাকবো।”
আরও পড়ুন- উহান থেকে ছড়ায়নি করোনা, নির্দোষ বাদুড়ও! দাবি WHO গবেষকদের
বস্তুত, ভারতের সঙ্গে উত্তর পশ্চিমের প্রতিবেশী পাকিস্তানের দ্বন্দ্ব চিরকালীন। কিন্তু সম্প্রতি সেই দ্বন্দ্বের তালিকায় যুক্ত হয়েছে চিনের নামও। পূর্ব লাদাখ সীমান্তে লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলকে ঘিরে গত বছর থেকে অশান্তি শুরু করেছে চিন। এ ব্যাপারে মিলিটারি প্রধানদের মধ্যেকার একাধিক বৈঠক আলাপ আলোচনা সীমান্ত উত্তেজনা কমাতে পারে নি। দুই দেশের বিদেশ ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সমঝোতা সত্ত্বেও সীমান্ত থেকে লাল ফৌজকে সরায়নি বেজিং। ভারত চিনের মধ্যেকার এই চাপানউতোর নিয়েই এবার সরব হয়েছে আমেরিকা।