নয়াদিল্লি: গত ১৫ অগাস্ট যখন আফগানিস্তান দখল করে নিয়েছিল তালিবান তারপর রাষ্ট্রপুঞ্জে বিবৃতি প্রকাশ করেছিল সেখানে তালিবান শব্দের অস্তিত্ব ছিল। কিন্তু এখন সন্ত্রাস সংক্রান্ত যে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে সেখানে অদ্ভুতভাবে নেই এই তালিবান শব্দ, অর্থাৎ সেটি যেন আচমকাই গায়েব হয়ে গেছে! স্বাভাবিকভাবেই রাষ্ট্রপুঞ্জের এই বিবৃতি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে এবং তাদের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। হঠাৎ করে কেন তালিবান শব্দ ব্যবহার করা হলো না সন্ত্রাস সংক্রান্ত বিবৃতিতে তা নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের ভূমিকায় ধন্দ দেখা দিচ্ছে।
আরও পড়ুন- বহিষ্কারের পরই ঘাসফুলে ফিরলেন বিজেপির দুই নেতা-নেত্রী
এর আগে রাষ্ট্রপুঞ্জ যে বিবৃতি প্রকাশ করেছিল সেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছিল যে, তালিবান বা কোন আফগান গোষ্ঠী, বা কোন ব্যক্তির উচিত নয় অন্য কোন দেশের জঙ্গি কার্যকলাপকে সমর্থন করা। কিন্তু গত ২৬ অগাস্ট যে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে সেখানে বাকি বক্তব্য এক থাকলেও শুরুর দিকের তালিবান শব্দ নেই! তাই স্বাভাবিক ভাবেই এই তথ্য সামনে আসতেই অবাক হয়ে গিয়েছে অনেকেই। তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার হল, অগাস্ট মাসের জন্য রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন ভারতের প্রতিনিধি! এর আগে নাম না করে তালিবানের উদ্দেশ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, মানবতাকে চিরকাল ধামাচাপা দেওয়া যায় না এবং যারা সন্ত্রাস করে সাম্রাজ্য স্থাপন করে তাদের সেই সাম্রাজ্য চিরস্থায়ী হয় না। ক্ষমতা ধ্বংস করা যাদের উদ্দেশ্য এবং যারা সন্ত্রাস করে সরকার গঠন করে তারা কখনোই চিরজীবন ক্ষমতায় থাকতে পারে না।
আরও পড়ুন- অনলাইনে প্রতারণার ফাঁদে ছাত্র, ৮১ হাজার টাকা খুইয়ে অসহায় পরিবার
যদিও তালিবান তার পালটা দিয়ে বলেছিল যে, আফগানিস্তানের তালিবান সরকার দীর্ঘ সময়ের জন্যই হবে এবং তা সফল হবে। সেই সঙ্গে ভারতকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তালিবান বলেছে, ভারত আফগানিস্তান ইস্যুতে নাক গলানোর চেষ্টা না করে! এর আগেই তালিবান ভারত-আফগানিস্তানের বাণিজ্যিক পথ বন্ধ করে দিয়েছিল। পাশাপাশি কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে নিরপেক্ষ অবস্থান নিলেও সরাসরি পাকিস্তানের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছে তারা। তাই আদতে তালিবান কাকে সমর্থন করছে সেটা বোঝা এতটাও কঠিন নয়।