বহিষ্কারের পরই ঘাসফুলে ফিরলেন বিজেপির দুই নেতা-নেত্রী

বহিষ্কারের পরই ঘাসফুলে ফিরলেন বিজেপির দুই নেতা-নেত্রী

a755f2ca0438a8dd0cdc411bd9b14f5b

 

নদিয়া: দলবদলের ধারা অব্যাহত৷ বহিষ্কারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বিজেপি মহিলা মোর্চার নেত্রী এবং কিষান মোর্চার সভাপতি যোগ দিলেন শাসকদল তৃণমূলে৷ তাঁদের দাবি, একা নন সঙ্গে দু’হাজর কর্মী-সমর্থক নিয়েই তাঁরা দল বদলেছেন৷ বিষয়টিকে কেন্দ্র করে নদিয়ার কল্যাণীর রানাঘাট এলাকায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক উত্তেজনা৷

তৃণমূলের সঙ্গে গোপন যোগাযোগ রাখার অভিযোগ উঠেছিল নদিয়ায় বিজেপির সাংগঠনিক জেলার মহিলা মোর্চার সভানেত্রী  উত্তরা বারুরি ও কিষান মোর্চার সভাপতি বুদ্ধদেব মাল্যর বিরুদ্ধে৷ দলীয়ভাবে তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পর রাজ্য বিজেপির নির্দেশে দুজনকেই পদ থেকে বহিষ্কার করা হয় বৃহস্পতিবার ৷ রাজ্য বিজেপি মহিলা মোর্চা সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল বনগাঁ বিজেপির সাংগঠনিক জেলা মহিলা মোর্চা সভানেত্রী উত্তরা বারুরীকে বহিষ্কার করে চিঠি পাঠায়। অন্যদিকে জেলা কিষান মোর্চার সভাপতি বুদ্ধদেব মাল্যকেও তার পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে রাজ্য সভাপতি চিঠি পাঠিয়েছিলেন৷

এরপর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই, নদীয়ার কল্যাণী বিধানসভার অন্তর্গত বিভিন্ন এলাকা থেকে জেলা, ব্লক এবং বুথ স্তরের দুই হাজারেরও বেশি কর্মী সমর্থক নিয়ে তৃণমূলে যোগদান করেন ওই দুই বহিষ্কৃত বিজেপি নেতা-নেত্রী৷ তৃণমূলের জেলা সভাপতি রত্না ঘোষ কর বলেন, ‘‘কল্যাণী আইটিআই মাঠে যোগদানের এই অনুষ্ঠান হওয়ার কথা থাকলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারনে কল্যাণী ঋত্বিক সদনে অনুষ্ঠিত হয় । সেখানেই ওরা আমাদের দলে যোগদান করেন৷’’ তাঁর দাবি, ‘‘কল্যাণী বিধানসভার বেশিরভাগ অংশই ওপার বাংলার মানুষের বসবাস৷ তাদেরকে নির্বাচনী কৌশল হিসেবে নিঃশর্ত নাগরিকত্বর লোভ দেখিয়েছিল বিজেপি৷ পরবর্তীতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান এবং বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প দেখে ক্রমশ তৃণমূলের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করছেন তাঁরা। নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন৷’’

সদ্য দলবদুল নেত্রী উত্তরা বারুরি বলেন, ‘‘প্রায় ছয় বছর ধরে দুটি সাংগঠনিক জেলার বিজেপির মহিলা মোর্চার দায়িত্ব সামলেছি৷ মহিলারা কোন সাংগঠনিক ক্ষমতায় থাকুক তা পছন্দ করে না বিজেপির নেতৃত্ব। বিজেপিতে মহিলারা অবাঞ্চিত৷ অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে বাংলার মেয়েদের জন্য বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প চালু করেছেন, আমফান হোক বা করোনা পরিস্থিতি মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকায় গর্বিত সকলেই৷ তাই আগামী দিনে শুধু বাংলায় নয় ভারতের দিশা দেখাবেন তিনি। এবং তার পাশে থাকে তার হাত শক্ত করতে এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া।’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *