ডর্সির ইস্তফায় ট্যুইটারের সিইও পদে ভারতীয় বংশোদ্ভূত, কে এই পরাগ আগরওয়াল?

ডর্সির ইস্তফায় ট্যুইটারের সিইও পদে ভারতীয় বংশোদ্ভূত, কে এই পরাগ আগরওয়াল?

d2c38a0238d18617ede51cd42166c10a

নয়াদিল্লি:  এর আগে আমরা দেখেছি গুগল সিইও সুন্দর পিচাইকে। এবার টুইটারের চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার পদে বসলেন আরও এক ভারতীয়৷ এই পদ থেকে জ্যাক ডর্সি পদত্যাগ করতেই তাঁর জায়গায় নিয়োগ করা হল ভারতীয় বংশোদ্ভূত পরাগ আগরওয়ালকে। মাইক্রো ব্লগিং সাইট ট্যুইটারের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই ঘোষণা করা হয়েছে৷ কিন্তু কে এই পরগা? কোন যোগ্যতায় বিশ্বের অন্যতম সেরা সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মের দায়িত্ব পেলেন তিনি?

আরও পড়ুন- প্রসব যন্ত্রণা নিয়েই সাইকেল চালিয়ে হাসপাতালে, ফুটফটে সন্তানের মা হলেন নিউজিল্যান্ডের সাংসদ

২০১১ সালে প্রথম টুইটারের সঙ্গে যুক্ত হন আইআইটি বম্বের প্রাক্তনী পরাগ আগরওয়াল৷  প্রথমে টুইটারের চিফ টেকনোলজি অফিসার (CTO) হিসাবে নিযুক্ত হয়েছিলেন তিনি৷  ২০১৭ সালে এই জনপ্রিয় মাইক্র-ব্লগিং সাইটের চিফ টেকনোলজি অফিসার পদে বসেন পরাগ।  ছাত্র জীবন থেকেই অত্যন্ত মেধাবী পরাগ আইআইটি বম্বে থেকে কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বি.টেক করেন। এরপর স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে ডক্টরেট হন পরাগ৷ 

২০০৬-এর জুন মাসে মাইক্রোসফ্টে যোগ দিয়েছিলেন বম্বে আইআইটি-র এই প্রাক্তনী৷ তবে বেশি দিন মাইক্রোসফটের সঙ্গে যুক্ত থাকেননি তিনি। পরের বছর জুনে তিনি যোগ দিন ইয়াহুতে। সেখানেই ১৬ মাসের সফর শেষে ফিরে যান মাইক্রোসফ্টে৷ চার মাস কাজ করার পর এটি অ্যান্ড টি ল্যাবের সঙ্গে যুক্ত হন৷ সেখানেও চার মাস কাজ করার পর ২০১১ সালের অক্টোবরে যোগ দেন টুইটারে৷ এবার সেই সংস্থারই সিইও হলেন পরাগ৷ 

সোমবার সিইও পদ থেকে সরে দাঁড়ান টুইটারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডর্সি।  টুইট করে তিনি বলেন, “১৬ বছর ধরে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছি৷ এবার বিদায় নেওয়ার সময় এসে গিয়েছে। পরাগ (পারগ আগরওয়াল) আমাদের পরবর্তী সিইও হতে চলেছেন৷ আমি মনে করি প্রতিষ্ঠাতাদের ছাড়াও সংস্থা এগিয়ে যেতে পারে৷ তাই সিইও পদ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” অন্যদিকে, নতুন দায়িত্ব পেয়ে উচ্ছ্বসিত পরাগ। 

 সিইও পদে নিযুক্ত হওয়ার পর ডরসিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করতে ভোলেননি এই ‘ইন্ডিয়ান-আমেরিকান’। বিবৃতিতে পরাগ বলেন,  ”সারা বিশ্ব আগের থেকে অনেক বেশি ভাবে আমাদের দিকে তাকিয়ে। আজকের এই খবরে বহু মানুষের মনেই নানা চিন্তা ভাবনার জন্ম হয়েছে। তাঁরা ট্যুইটার ও টুইটারের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করেন। এবার দেখিয়ে দিন ট্যুইটারের পুরো ক্ষমতা!”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *