পিছনে বন্দুকধারী তালিবান! সঞ্চালক বলছেন আফগানিস্তানে ভয় নেই!

পিছনে বন্দুকধারী তালিবান! সঞ্চালক বলছেন আফগানিস্তানে ভয় নেই!

কাবুল: আফগানিস্তান দখল করার পর তালিবান সাংবাদিক বৈঠক করে স্পর্শ করেছিল যে কেউ যাতে তাদের ভয় না পায়। তাদের নাকি পরিবর্তন ঘটেছে এবং তারা এবার সুষ্ঠুভাবে সরকার গঠন করতে চায় একই সঙ্গে নারী সুরক্ষার দিকে নজর দিতে চায়। কিন্তু বিগত কয়েকদিনে যে সমস্ত খবর সামনে এসেছে আফগানিস্তান থেকে তাতে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে তালিবানের কথার সঙ্গে কাজের কোনো সম্পর্ক নেই। আরও একটি বিষয় স্পষ্ট করা হয়েছিল তালিবানের তরফে যে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা থাকবে। এখন সেই নমুনাও সকলের সামনে। সম্প্রতি একটি টিভি চ্যানেলের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে যেখানে দেখা যাচ্ছে আফগানিস্তানের এক টিভি সঞ্চালকের পেছনে দাঁড়িয়ে রয়েছে দুই তালিবানি জঙ্গি, এদিকে সঞ্চালক আফগানিস্তানের পরিস্থিতির সুখ্যাতি করছে! 

আরও পড়ুন- বিস্ফোরণের রেশ কাটার আগেই একের পর এক রকেট হামলা কাবুল বিমানবন্দরে

যে ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, সঞ্চালকের চোখে মুখে স্পষ্ট কারণ তার পেছনে দাঁড়িয়ে রয়েছে দুই তালিবানি জঙ্গি এবং তাদের দুজনের হাতেই রয়েছে বড় রাইফেল। এদিকে সে নিজের সঞ্চালনায় আফগানিস্তান পরিস্থিতি এবং তালিবানের সুখ্যাতি করে চলেছে। ভয়ে ভয়ে সে বলছে, মানুষ যেন আফগানিস্তানের ইসলামিক আমিরশাহিকে ভয় না পায়, তালিবানকে ভয় পাবার কিছু নেই। কিন্তু মানুষ কেন তালিবানকে ভয় পাবে সেটা হয়ত পুঙ্খানুপুঙ্খ ব্যাখ্যা করে দিচ্ছে এই ভাইরাল হওয়া ভিডিও। প্রত্যেকে আরো একবার ভালো করেই বুঝে যাচ্ছে যে তালিবান এতোটুকু বদলায়নি, একেবারে আগের মতোই রয়েছে। কিছুদিন আগেই জার্মান সংবাদমাধ্যমের এক কর্মীর পরিবারের সদস্যকে গুলি করে খুন করেছিল তালিবান। এছাড়াও কাবুলে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের এক সাংবাদিক এবং চিত্রগ্রাহককে বেধড়ক মারধর করেছিল তারা। সব মিলিয়ে বোঝা যাচ্ছে যে তালিবান যে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা উল্লেখ করেছিল তা আদতে তারা নিজেরাই মানে না।

আরও পড়ুন- কবে ভ্যাকসিন পাবে শিশু-কিশোররা? স্পষ্ট করে দিল কেন্দ্র

 

এদিকে আবার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে আফগানিস্তানে। সোমবার সকালে হামিদ কারজাই বিমানবন্দর লক্ষ্য করে উড়ে আসে পর পর পাঁচটি রকেট। যদিও এই রকেট ক্ষতি করতে পারেনি৷ বিমানবন্দরের বিশেষ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম রকেটগুলিকে ধ্বংস করতে সক্ষম হয়।  এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত  বড়সড় কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবরও মেলেনি। এদিনের হামলার পিছনেও আইএস-এর হাত রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে আমেরিকা৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *