আফগান তরুণীদের যৌনদাসী হিসেবে বিক্রি করে দিচ্ছে তালিবান!

আফগান তরুণীদের যৌনদাসী হিসেবে বিক্রি করে দিচ্ছে তালিবান!

923e7b1d9834f480590a3a8755d273af

কাবুল: তালিবান যতই দাবি করুক যে তারা বদলে গেছে, তাদের এই বক্তব্য কোনোভাবেই মান্যতা দেওয়া যায় না। কারণ নিজেদের বক্তব্য থেকে নিজেরাই সরে আসছে তারা এবং অল্প সময়ের মধ্যেই নিজেদের পুরনো এবং আসল পরিচয় প্রকাশ করছে তালিবান। আফগানিস্তান দখল নেওয়ার পর প্রথম সাংবাদিক বৈঠক করে তালিবান মুখপাত্র জানিয়েছিল যে তারা শান্তি চায়, একই সঙ্গেই নারী নিরাপত্তার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে ততো তাদের আসল চেহারা প্রকাশ পাচ্ছে। এবার যে তথ্য সামনে এসেছে তা ভয়ঙ্কর। জানা যাচ্ছে একে একে আফগান তরুণীদের যৌনদাসী হিসেবে বিক্রি করে দিচ্ছে তালিবান! মেয়েদের কফিনবন্দি করে পড়শি দেশগুলিতে পাচার করে দিচ্ছে তারা।

আরও পড়ুন- প্রাণ বাঁচাতে এক কাপড়ে দেশ ছাড়ার মরিয়া চেষ্টা, কাবুলে পদপৃষ্ঠ অসহায় জনতা

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়ে আফগানিস্তানে প্রাক্তন বিচারপতি নাজেলা আয়ুবী জানিয়েছেন, বিগত কয়েক দিন ধরে আফগানিস্তানে বিভিন্ন প্রদেশে তালিবান মহিলাদের ওপর যথেচ্ছ অত্যাচার চালাচ্ছে। মারধোর করা থেকে শুরু করে পড়শি দেশে পাচার করে দেওয়া হচ্ছে মেয়েদের। তিনি দাবি করেছেন, যৌনদাসী হিসেবে একাধিক আফগান মেয়েদের ইতিমধ্যেই কফিনবন্দি করে পড়শি দেশগুলিতে বিক্রি করে দিয়েছে তালিবান। এর পাশাপাশি জোর করে বাচ্চা মেয়েদের সঙ্গে তালিবান জঙ্গিদের বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে যাদের তালিবান পছন্দ করছে না তাদের মেরে ফেলা হচ্ছে। এমনকি শোনা গিয়েছে, এক মহিলাকে বেশ কয়েকজন জঙ্গিদের জন্য খাবার তৈরির নির্দেশ দিয়েছিল তালিবান। কিন্তু তার রান্না পছন্দ না হওয়ায় ওই মহিলাকে পুড়িয়ে মেরেছে তারা! অতএব বোঝা যাচ্ছে যে বিশ্বের সামনে তালিবান নিজেদের যেভাবে দেখানোর চেষ্টা করছে তার থেকে বাস্তব চিত্র সম্পূর্ণ বিপরীত।

আরও পড়ুন- ভোট পরবর্তী হিংসা: হাইকোর্টের রায়ে নাখুশ সৌগত, মানুষ বিচার পাবে, বললেন দিলীপ

ক্ষমতা দখলের পর ইতিমধ্যেই মহিলাদের জন্য একাধিক বিধিনিষেধ জারি করেছে তালিবান। স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছে, রক্তের সম্পর্ক রয়েছে এমন পরিবারের সদস্যের সঙ্গেই একমাত্র রাস্তায় বেরোতে পারবেন আফগানি মহিলারা। এছাড়া শুধুমাত্র স্বামীর সঙ্গে রাস্তায় বেরোনো যাবে, আর কোন ভাবে তারা রাস্তায় বেরতে পারবেন না। একইসঙ্গে রাস্তায় বেরোলে বোরখা এবং হিজাব পরা বাধ্যতামূলক। অন্যদিকে মহিলাদের পায়ের শব্দ যাতে অন্য পুরুষের কানে না যায় সেই জন্য হিল জুতো পরা যাবে না, মহিলাদের গলার আওয়াজ যাতে অন্য পুরুষের কানে না যায় সেজন্য উঁচু গলায় কথা বলা যাবে না! 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *