কাবুল: অভিশপ্ত শনিবার বললেও কম বলা হয়। বিনা যুদ্ধে তালিবানিরা দেশ দখলের পরই পালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আশরফ গনি৷ এদিকে দেশ দখলের পরই যেভাবে তালিবানি শাসন শউকরু হয়েছে, তাতে প্রাণ বাঁচাতে এক কাপড়ে দেশ ছাড়ার হিড়িক শুরু হয়ে গিয়েছে আফগানিস্তান জুড়ে৷ কাবুল বিমান বন্দরে থিক থিক করছে কালো মাথা৷ কার্যত জনসমুদ্রের চেহারা নিয়েছে রানওয়ে৷
প্রশ্ন উঠছে, জনসমুদ্রে ঠেলে বিমানই বা উড়বে কি করে৷ শুধু বিমানবন্দর নয়, দেশ ছেড়ে পালানোর জন্য যেভাবে রাস্তায় মানুষের ঢল নেমেছে তাতে পদপৃষ্ট হয়ে মার যাওয়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না৷ সোশ্যাল সাইট টুইটারে কাবুল বিমানবন্দরের টুকরো টুকরো ছবি উঠে এসেছে৷ তাতেই সামনে এসেছে ভয়াবহ দৃশ্য৷ দেখা যাচ্ছে, বিমানে ওঠার সিঁড়িতে কয়েক’শ লোক একে অপরকে ঠেলে আগে যেতে চাইছেন৷ একই হাল সর্বত্র৷ সবাই প্রাণে বাঁচতে চান৷ সবাই চান, আগে দেশ ছাড়তে৷
তালিবানি শাসন কায়েম হতেই কেন আফগানদের মধ্যে দেশ ছাড়ার হিড়িক শুরু হল? স্টেফানি গ্লিনস্কি নামে আফগানিস্তানে কর্মরত এক মহিলা সাংবাদিকের টুইট থেকে সামনে এসেছে সেই চিত্রটা৷ যেখানে তিনি দাবি করেছেন, আফগানিস্তান দখল নেওয়ার পরই হেরট এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয় সহ সমস্ত অফিস থেকে মহিলাদের বার করে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘‘এখন থেকে আর বাইরে বেরিয়ে কাজ করতে হবে না৷ বাড়ির কাজ সামলাবে মেয়েরা৷ অফিসে তৈরি হওয়া মহিলাদের শূন্যপদে এখন থেকে কাজ করবেন পুরুষেরা৷’’
রবিবার সকালে দক্ষিণের জালালাবাদ দখল নেওয়ার পর কার্যত বিনা যুদ্ধে কাবুল দখল করে তালিবান। তালিবান প্রধান মোল্লা আবদুল গনি বরাদরের হাতে দেশের ভার তুলে দেওয়ার পরই পগার পার প্রেসিডেন্ট গনি। তারপর থেকেই তালিবানি শাসন থেকে বাঁচতে রীতিমতো দেশ ছাড়ার হিড়িক শুরু হয়েছে আফগানদের মধ্যে৷ ‘কে বা প্রাণ আগে করিবেক দানে’র ন্যায় সকলেই দেশ ছাড়তে মরিয়া৷ এদিকে আফগানিস্তানের সাধারণ মানুষের ওপর সহনশীল আচরণ করার জন্য তালিবানদের প্রতি বিবৃতি দিয়ে যোথ অনুরোধ জানিয়েছে আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি সহ ৬০ টি দেশ৷