চিনই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ! তালিবানের বক্তব্যে বাড়ছে কৌতুহল

চিনই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ! তালিবানের বক্তব্যে বাড়ছে কৌতুহল

9266e4c7485a3ec4c27bb2a03845bfb5

কাবুল: আফগানিস্তান তালিবানদের দখলে চলে যাবার পর প্রথম যে দুটি দেশ তাদের সমর্থন করার ইঙ্গিত দিয়েছিল তাদের মধ্যে একটি হল পাকিস্তান এবং অন্যটি হল চিন। অন্যদিকে রাশিয়াও তালিবানদের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছিল। কিন্তু খোদ তালিবান বলছে, তাদের কাছে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী পাকিস্তান বা রাশিয়া নয়, চিন। এই মন্তব্যে এবার নতুন করে জল্পনা সৃষ্টি হয়েছে।

আরও পড়ুন- আফগান সীমান্তে জঙ্গি হামলা, ক্রমাগত বিস্ফোরণ! নিহত পাক-সেনা

আসলে এটা কারোর অজানা নয় যে, পাকিস্তান বরাবর তালিবানকে সমর্থন করে এসেছে এবং আফগানিস্তানের যুদ্ধে বরাবরই তারা মদত দিয়েছে তালিবানকে। কিন্তু এখন আফগানিস্তানের নতুন সরকার গঠন করার আগে তালিবান ‘পাশে দাঁড়াল না’ পাকিস্তানের, তারা স্পষ্ট বলল যে তাদের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী চিন। এমনকি তাদের ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ কর্মসূচিকেও সমর্থন করবে তারা। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকার দিয়ে যায় তালিবানের মুখপাত্র জানিয়েছে, আফগানিস্তানে বিনিয়োগ করবে চিন এবং তাদের কর্মসূচির মাধ্যমে বন্দর থেকে শুরু করে রেলপথ এবং রাস্তা তৈরি হবে আফগানিস্তানের যা পরবর্তী ক্ষেত্রে এশিয়া মহাদেশের বিরাট এলাকাকে আফগানিস্তানের সঙ্গে যুক্ত করবে তাতে দেশের উন্নতি হবে এবং অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে। প্রসঙ্গত, এই ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ নিয়ে আগে থেকেই বিরোধিতা করে আসছে ভারত কারণ এই সড়ক যাচ্ছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্যে দিয়ে। আফগানিস্তান দখল করার পর তালিবান স্পষ্ট জানিয়েছিল যে তারা কাশ্মীর ইস্যুতে নাক গলাবে না। কিন্তু এবার চিন এবং তাদের এই কর্মসূচিকে সমর্থন জানিয়ে পরোক্ষে তারা কাশ্মীর ইস্যুতে ঢুকে পড়েছে, যা ভারতের অস্বস্তি বাড়াচ্ছে।

আরও পড়ুন- আফগানিস্তানে তালিবানকে ‘পথ দেখাক’ আন্তর্জাতিক দুনিয়া, আমেরিকাকে আর্জি চিনের

উল্লেখ্য, আফগানিস্তান দখল নেওয়ার পর তালিবান প্রথম থেকেই ভারতের প্রতি নরম মনোভাব রেখেছে। প্রথম থেকেই তারা ভারতের সঙ্গে আলোচনার কথা বলেছিল। পরবর্তী ক্ষেত্রে তাদের বৈঠক হয় এবং সেখানে তাদের কড়া বার্তা দেয় ভারত। স্পষ্ট বার্তা দিয়ে ভারত জানিয়ে দিয়েছে যাতে আফগানিস্তানের জমি ভারত বিরোধী কোন কাজে ব্যবহৃত না হয়। এর পাশাপাশি আফগানিস্তানের আটকে থাকা ভারতীয় এবং সংখ্যালঘুদের ভারতে ফেরার ব্যাপারে আলোচনা হয়। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *