কাবুল: আফগানিস্তানের প্রতিরোধের মুখে তালিবান জঙ্গি গোষ্ঠী। স্থানীয় প্রতিরোধের কারণে দুটি প্রদেশ ইতিমধ্যেই হাতছাড়া হয়ে গেছে তাদের। বাঘলান প্রদেশের বানু এবং পুল-ই-হেসার প্রদেশ হাতছাড়া হয়ে গেছে জঙ্গি গোষ্ঠীর। স্থানীয় প্রতিরোধের কাছে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে তালিবান। শেষ পাওয়া খবরে অনুযায়ী, এবার ডেল সালাহার দিকে অগ্রসর হয়েছে তালিবান বিরোধীরা। অন্যদিকে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই আবার কাবুল বিমানবন্দরে মোতায়েন করা হয়েছে ৬ হাজার মার্কিন সেনা। পেন্টাগন সূত্রে খবর এমনটাই।
আরও পড়ুন- ‘চটি ছেড়ে বুট গলানোর সুযোগটুকু পাইনি’, দাবি ‘খালি হাতে’ পালানো গনির
গত রবিবার থেকে আফগানিস্তান পুরোপুরি দখল নিয়ে নিয়েছে তালিবান এমন খবর গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। আফগানিস্তানের অধিকাংশ জায়গা থেকে যে ছবি ধরা পড়ছে তাতে শিহরিত হচ্ছে সকলে। রাজধানী কাবুল থেকে শুরু করে একাধিক প্রদেশ দখল করে নিয়েছে তালিবানরা এবং নিজেদের মতো অবাধ বিচরণ করছে তারা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইতিমধ্যেই আফগান সেনার অনিচ্ছাকে দায়ী করেছেন এই পরিস্থিতির জন্য। তিনি মন্তব্য করেছিলেন যে আফগান সেনাবাহিনী লড়াই করার জন্য প্রস্তুত ছিল না এবং ইচ্ছেও দেখায়নি। সব মিলিয়ে তালিবান আরো যেন শক্তিশালী হয়ে উঠছিল। কিন্তু এবার স্থানীয় বিরোধী শক্তি এবং নর্দান অ্যালায়েন্স সংঘবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াচ্ছে তালিবানদের বিরুদ্ধে। একে একে বিভিন্ন প্রদেশে হাতছাড়া হচ্ছে জঙ্গি গোষ্ঠীর।
এর আগে উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানে নর্দান অ্যালায়েন্সের বিরোধিতার মুখে পড়েছে তালিবান৷ আফগানিস্তানের বুকে দুর্দমনীয় তালিবানেকে একাই রুখেছে পঞ্জশির। বরাবরই মুক্তাঞ্চল হিসাবে নিজের অস্তিত্ব জাহির করেছে পঞ্জশির৷ ৫১২টি গ্রাম নিয়ে গঠিত এই প্রদেশ৷ রাজধানী বাজারক৷ জনসংখ্যা ১,৭৩,০০০৷ অবস্থান রাজধানী কাবুল থেকে মাত্র ১০০ কিলোমিটার দূরে৷ তালিবানের দখলে গোটা দেশ চলে যাওয়ার পর পঞ্জশিরেই আশ্রয় নিয়েছেন আফগানিস্তানের প্রাক্তন প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট তথা নিজেকে তত্ত্বাবধায়ক রাষ্ট্রপতি দাবি করা আমরুল্লাহ সালে। উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানের একমাত্র এই উপত্যকায় এখনও পর্যন্ত পা জমাতে পারেনি জঙ্গিগোষ্ঠী।