সালেহর ভাইকে নৃশংস হত্যা তালিবানের, দেহ পচতে ফেলে রাখা হল

সালেহর ভাইকে নৃশংস হত্যা তালিবানের, দেহ পচতে ফেলে রাখা হল

কাবুল: গত ১৫ অগাস্ট যখন আফগানিস্তান দখল করেছিল তালিবান তখন বেশিরভাগ প্রদেশ তাদের কব্জায় চলে গেলেও পঞ্জশির নিয়ে টানাপোড়েন এতদিন ধরে চলেছে। একাধিকবার সেই প্রদেশ নিজেদের দখলে এনেছে এমন দাবী করার পরেও তালিবান আদতে ওই প্রদেশের বাইরেই ছিল। কিন্তু সম্প্রতি সেই প্রদেশ দখল করে নিয়েছে তালিবান এমন তথ্য প্রকাশে এসেছে। এবার জানা গিয়েছে, সেই প্রদেশের সংঘর্ষের পরে আফগানিস্তানের প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি আমরুল্লাহ সালেহর ভাই রোহুউল্লাহকে নৃশংস হত্যা করেছে তালিবান জঙ্গিরা। এমনকি দেহ যাতে পচে যায় তার জন্য তাকে কবর পর্যন্ত দেওয়া হয়নি।

আরও পড়ুন- ভোজ্য তেলে ভেজাল আটকাতে বড় উদ্যোগ রাজ্যের 

সূত্রের খবর, আফগানিস্তানের প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতির ভাইকে নৃশংস হত্যা করেছে তালিবান এবং তার দেহ কবর না দিয়ে শুধুমাত্র ফেলে রাখা হয়েছে। তালিবান চাইছে ওই মরদেহ পৌঁছে যাক! এমনকি এও জানা গিয়েছে, সালেহর পরিবারের তরফ থেকে তার মরদেহ ফেরত যাওয়া হয়েছিল তালিবানের কাছে। কিন্তু তারা তা দিতে অস্বীকার করেছেন। তালিবান স্পষ্ট জানিয়েছে, ওর মরা দেহ পচে যাওয়া উচিত! প্রেসিডেন্ট আসরাফ গনি ইস্তফা দিয়ে দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর ‘প্রেসিডেন্ট’ হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন আমরুল্লাহ সালেহ। তারপর থেকে পঞ্জশীরেই ছিলেন তিনি এমনিই জানা গিয়েছিল। যদিও পরে তাঁর অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে, কিন্তু তাজিকিস্তানের আফগান দূত স্পষ্ট করেন যে, মাসুদ বা আমরুল্লাহ কেউই দেশ ছেড়ে পালাননি। এদিকে, তালিবান যে পঞ্জশির দখলের দাবি করেছে তা এখনও নস্যাৎ করছে নরদ্যান অ্যালাইন্স। 

আরও পড়ুন- নতুন করে কোনো অর্থ বরাদ্দ নয়! নির্বাচন প্রসঙ্গে জানাল কমিশন

তবে সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল যাতে দেখা গিয়েছিল যে, তালিবানদের হাত থেকে গুনে গুনে টাকা নিচ্ছে পঞ্জশির যোদ্ধারা! বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হচ্ছিল, এতদিন তালিবানদের বিরুদ্ধে আফগান প্রতিরোধের প্রতিনিধি ছিলেন এরা কিন্তু এবার তারাই আত্মসমর্পণ করে দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, আত্মসমর্পণ করার পর নিজেদের হিসাব মতো অর্থ পুরস্কার নিয়েছেন তারা। যে ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে যে, আত্মসমর্পণকারী যোদ্ধাদের হাতে টাকা তুলে দিচ্ছে তালিবান আর সেই টাকা তারা গুনে গুনে নিচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *