নতুন করে কোনো অর্থ বরাদ্দ নয়! নির্বাচন প্রসঙ্গে জানাল কমিশন

নতুন করে কোনো অর্থ বরাদ্দ নয়! নির্বাচন প্রসঙ্গে জানাল কমিশন

ce850752cd9507f6b25e8323ce2881fd

কলকাতা: আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর রাজ্যের যে তিনটি কেন্দ্রে নির্বাচন এবং উপনির্বাচন রয়েছে সেখানে উন্নয়নের জন্য নতুন করে কোনো অর্থ বরাদ্দ করা যাবে না বলে জানিয়ে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন রাজ্য সরকার এবং মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে চিঠি দিয়েছে। নির্বাচনী আচরণবিধি জারি হয়ে যাওয়ায় ইতিমধ্যে কোন কাজের ওয়ার্ক অর্ডার হয়ে গেলেও কাজ যদি এখনো শুরু না হয় তবে সেই কাজও শুরু করা যাবে না বলে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবকে লেখা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে বলে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। কমিশনের এই নির্দেশ ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট জেলার নির্বাচনী আধিকারিকদের পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর।

আরও পড়ুন- উলটো সুর বিজেপি বিধায়কের মুখে, অস্বস্তিতে নেতৃত্ব

 

আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভোট হবে ৩ কেন্দ্রে৷ এর মধ্যে রয়েছে হাইভোল্টেজ ভবানীপুর, পাশাপাশি জঙ্গিপুর ও সামসেরগঞ্জ৷ রাজ্যে বকেয়া বিধানসভা ভোট এবং উপ নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার পর কমিশনের তরফ একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে এবং আগেই জারি করে হয়েছে একগুচ্ছ শর্ত৷ স্পষ্ট জানান হয়েছে,  মনোনয়নপত্র পেশ থেকে প্রচার, সামগ্রিক ভোট পর্বে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কঠোরভাবে কোভিড বিধি মেনে চলতে হবে। মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় কোনও মিছিল করা যাবে না। রিটার্নিং অফিসারের দফরের ১০০ মিটারের মধ্যে মাত্র ৩টি গাড়ি রাখার অনুমতি মিলবে৷ রুদ্ধদ্বার প্রচার সভার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২০০ জন অথবা আসন সংখ্যার ৩০ শতাংশ, লোক উপস্থিত থাকতে পারবে৷ সর্বোচ্চ ১ হাজার জন অথবা ৫০ শতাংশ লোক নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলি খোলা জায়গায় প্রচার সভার আয়োজন করতে পারবে। প্রচারে কোনও রকম রোডশো, বাইক র্যা লির আয়োজন করা যাবে না। ভোটগ্রহণের ৭২ ঘন্টা আগে প্রচার পর্ব শেষ করতে হবে৷ 

আরও পড়ুন- শুধু ভবানীপুরের দিন ঘোষণা! কমিশনের সিদ্ধান্তে ‘সন্দেহ’ দিলীপের

প্রসঙ্গত, ২০১১ ও ২০১৬ সালে ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে জিতেই মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তবে একুশের বিধানসভা ভোটের আগে শুভেন্দু অধিকারী দল ছাড়ার পর নন্দীগ্রাম থেকে ভোটে লড়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি৷ তবে স্বল্প ব্যবধানে সেখানে পরাজিত হন৷ এদিকে ভবানীপুর কেন্দ্রে রুদ্রনীল ঘোষকে ৩০ হাজারের বেশি ভোটে পরাজিত করে জয়ী হন তৃণমূলের শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়৷ তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য এই কেন্দ্রটি ছেড়ে দেন তিনি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *